স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুরে কাশেম বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
মাদক, চুরি,লুটপাট, অপহরণ, অস্ত্র, মারা মারিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে কাশেম বাহিনী বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
এরা এলাকার বিশাল একটি অংশে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরা অপরাধ জগতের মূল নায়েকের ভূমিকায় সব জায়গাই এদের আধিপত্য বিস্তার, একটি
রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এরা বেপরোয়া। প্রকাশ্যে এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ
খোলার সাহস নেই, এরা রামচন্দ্রপুর বাজারে বিভিন্ন দোকানে চুরি করে ধরা পরার
পর ও পেশি শক্তির বলয়ে এরা বেঁচে যায়।
এমন অভিযোগ রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাখরাবাদ গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম মিয়া ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে।
এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে প্রথম মামলাটি করেন মুরাদনগর থানায়, ত ১৯/০৭/২০০১ এর ঘটনায়
তখনকার ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব সফু মিয়া সরকার।
গত ২৭/০৩/২০০৩ সালে ১৪৩/৪৪৮/৩৮০/৪২৭/দন্ড বিঃ আইনে এদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর
থানায় মামলা করেন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ বাবুল
মিয়া।
গত ০৯/১০/২০০৩ সালে চাঁদাবাজী ও লুটপাটের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে মামলা
করেন রামচন্দ্রপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব জীবন মিয়া মেম্বার।
গত ১৭/০৬ /২০০৮ কলেজ হোস্টেল থেকে এক ছাত্র কে উঠিয়ে নিয়ে মোবাইল ও টাকা
রেখে মারধর করে আটকিয়ে রাখার অভিযোগে দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের মোঃ
নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ রাসেদা ইসলাম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি
মামলা করেন।
গত ০৪/১২/২০২০ সালে বি চাপিতলা গ্রামের মৃত কাজী মোখলেছুর রহমান ভূইয়ার ছেলে মোঃ কবির হোসেন ভুইয়া, ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৪২/৪২৭/১০৯, পেনাল কোড ১৮৬০ এদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা রুজু করা হয়।
গত ১১/০৫/২০২২ সালে খানেপাড়া গ্রামের মৃত চৌধুরীর ছেলে মোঃ রায়েত আলী, এদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় ১৪৩/৩৪১/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৭৯/৫০৬/ পেনাল কোড ১৮৬০ মামলা রুজু করেন।
গত ২৫/০৪/২০২৩ সালে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ এদের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে পয়াষট্রি বোতল ফেনসিডিল সহ কাশেম মিয়ার ছেলে মাসুককে আটক করে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাঙ্গরা বাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন।
গত ১১/০৮/২০২৩ তারিখে কাশেম মিয়ার প্রতিবেশী ধনু মিয়ার ছেলেদের উপর
হামলার ঘটনায় মৃত সুকন মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ধনু মিয়া এদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা
বাজার থানায় একটি মামলা রুজু করেন।
গত ০৯/০৯/২০২৩ ইং তারিখে রামচন্দ্রপুর বাজার পাড়া মোঃ হারুন মিয়ার ছেলে মোঃ
মোস্তফা (৪২) বাদী হয়ে কাশেম মিয়া ও তার ৪ ছেলের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার
থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, বিবাদীদের
সাথে পূর্ব হতে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে বিরোধ চলে আসছে,এলাকায়
একাধিক বার শালিসি দরবার করা হলেও এরা কোন প্রকার দরবার না মানিয়া অন্যায়
অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে, এর জের ধরে গত ০৯/০৯/ ২০২৩ তারিখে বাদীর চাচাতো
ভাই রামচন্দ্রপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আবদুল জলিল মিয়ার ছেলে
পাভেল চাউল কিনার জন্য নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে কোম্পানিগঞ্জ বাজারে যাওয়ার
পথে সকাল অনুমান ১০,৫৫ ঘটিকার সময়ে রামচন্দ্রপুর বাজার ইকবাল চেয়ারম্যান এর
কাপরের দোকানের সামনে বিবাদীরা এলোপাতাড়ি মারধর করে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়,
ঘটনাস্থলে বাদী ও সাক্ষীরা পাভেল কে রক্ষা করতে আসলে বাদী ও এক নং সাক্ষী
বাখরাবাদ গ্রামের মৃত মুতি মিয়ার ছেলে মোঃ কাউছার আহত হয়, কাউছারের অবস্থা
আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে
জানিয়েছেন বাদী।
মোঃ মোস্তফা জানিয়েছেন এ ঘটনায় যারা পাভেল কে রক্ষা করতে এগিয়ে আসছে এবং
যারা সাক্ষী তাদের কে বিভিন্ন প্রকার প্রাননাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে, আমাদের
বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করতেছে, এদের বিরুদ্ধে
একালাকায় প্রায় ডজনখানেক মামলা থাকার পর ও এদের অত্যাচার থেকে আমরা বাচতে
পারিনা।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আবুল কাশেম ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।