হাফেজ নজরুল :
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রধান মন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর টাকা নিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য রাসেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রাসেল উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য। তিনি পরমতলা গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলাম (সফু) মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামের মোহাম্মদ আলী চট্রগ্রামে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘর না থাকায় সে চট্টগ্রামে বস্তিতে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হচ্ছে শুনে মুরাদনগর গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং ইউপি সদস্য রাসেল মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করেন। রাসেল ঘর দেওয়ার কথা বলে মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নেন। ঘর দিবো দিচ্ছি বলে রাসেল মুন্সী একবছর যাবত নানা তালবাহানা করে আসছেন।
অবশেষে আশ্রয়নের ঘর না পেয়ে গত ৩০ শে জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোহাম্মদ আলী।
টাকা লেনদেনের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাসেল মুন্সির কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি মোহাম্মদ আলী আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
ইউনিয়ন ভূমিসহকারী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়নের ঘর দেওয়ার নামে রাসেল মেম্বার টাকা নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্দ্ধতনের নিকট পাঠিয়ে দিয়েছি।
অপরদিকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের টাকা না দেওয়ায় নিলুফা আক্তারকে ঘর বুঝিয়ে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে ধামঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে।
নিলুফা আক্তার বলেন, আমি ঘরের জন্য টাকা দিতে না পারায় আমার নাম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও ঘর পাইনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি ভূমিহীন অসহায় পরিবার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর কাদির যতগুলো আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দিয়েছেন প্রতিটি ঘর থেকে চল্লিশ থেকে আশি হাজার টাকা করে নিয়েছে। টাকা ছাড়া কাউকে কোন ঘর তিনি দেননি।
এবিষয়ে ধামঘর ইউনিয়নের চেয়াম্যান আব্দুল কাদের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে (০১৮১৭১০০৯৯৫) যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভাব হয়নি
মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন সুলতানা নীপা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প ঘর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম হলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।