দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের বড় সুলতানপুর গুচ্ছ গ্রামের মোছাঃ আশা আক্তারের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি স্বামীদের ফাঁদে ফেলে এবং প্রেমিকদের কাছ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার অপকর্ম নিয়ে দৈনিক নতুন দিনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
জানা যায়, ২০ বছর বয়সী আশা আক্তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেন এবং বিবাহ করে অর্থ আদায়ের পেশা বেছে নেন। শুধু তাই নয়, তার পিতা লাইছুর রহমান ও মাতা লিপি আক্তারের বিরুদ্ধেও ভুয়া সহনদপত্র বানানোর অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে অবৈধ উপায়ে অর্থ আদায়ের কাজ করেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং স্থানীয় অভিযোগ:
বিগত ৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে "দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পুরুষ খেকো আশা আক্তার কাহিনী" শিরোনামে এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে প্রেমিকদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি "রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ" নামে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক খান মোঃ আব্দুল মজিদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আশা আক্তার এবং তার পরিবারের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে দিনাজপুর-২য় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (মামলা নং: ২২৬/সি/৩৬/১৮, তারিখ: ১২.১১.২০১৮) দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণ:
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আশা আক্তার তার প্রেমিক এবং স্বামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তার পিতা লাইছুর রহমান ভুয়া কাগজপত্র বানানোর মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তাদের পরিবার প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। বোচাগঞ্জ থানাসহ রংপুর র্যাব বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ:
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন, না হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়বে।
Tags
দিনাজপুর