আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আর এই আনন্দ ও খুশিকে ভরিয়ে তুলতে নতুন পোষাক যেমন যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন প্রসাধনি সামগ্রী কসমেটিক। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা।
কেউ কিনছেন পছন্দের চুড়ি, কানের দুল ও মেকআপ বক্স। কেউ কিনছেন পোশাকের সাথে লিপিস্টিক, নেইলপলিশ ও আইভ্রু। পিছিয়ে নেই তরুণরাও। তারাও শেষ মুহূর্তে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের আঁতর ও বডি স্প্রে।অধিকাংশ তরুণ-তরুণী ইতোমধ্যে পোশাক কিনে ফেলেছেন। তাই এখন ভিড় করছেন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ রোড কাটিহারধর থেকে নিমতলামোড় পর্যন্ত সব প্রসাধনী দোকানে জমে উঠেছে সামগ্রীর কেনাবেচা।
প্রসাধনী কিনতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী তাশফিয়া মুনতাহা বলেন, ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষ। বাড়ির সবাই পোশাক কিনেছি। আজকে কিছু কসমেটিক সামগ্রী কিনতে আসলাম। মেহেদি এবং কিছু চুড়ি নিয়েছি। আরও কিছু কেনাকাটা করতে হবে।
ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রসাধনী দোকানের বিক্রেতারা। মুড়িহাটি সংলগ্ন পালকি সাজ ঘরের সত্তাধিকারী মো. মামুন বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় আমাদের দোকানে ক্রেতার ঢল নেমেছে। তরুণীদের পছন্দের প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে বডি ম্প্রে, কালার কসমেটিক, ফাউন্ডেশন, ফেসওয়াশ, উপটান, নেইল পলিশ, আইলাইনার, লিপলাইনার, মাসকারা, আইভ্রু, কাজল, আইশ্যাডো ও পারফিউম। এ ছাড়া মেহেদি থাকে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। তাই ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি দোকানেই ভালোই বিক্রি হচ্ছে মেহেদি।
অন্যদিকে সময়ের পরিবর্তনে এখন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে ভিড় দেখা যাচ্ছে তরুণদেরও। ঈদে নিজেদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে কিনছেন বিভিন্ন ধরনের পারফিউম, বডি স্প্রে, আংটি, গলার চেইন, ব্রেসলেট ও কানের রিং।
কথা হয় কসমেটিক ও প্রসাধনী কিনতে আসা কিছু নারী ক্রেতা মাইশা স্মৃতি,আফরিন মৌ,রিনাত রিমের সাথে তারা জানায় জামা কাপড় কেনা শেষে মেহেদি,ব্রেসলেট,পার্স ব্যাগ,মেকাপ সামগ্রি সহ আরো টুকি টাকি কসমেটিক নেইল পলিশ, আইলাইনার, লিপলাইনার, মাসকারা, আইভ্রু, কাজল, আইশ্যাডো নিবেন তারা।
কোয়ালিটি প্রসাধনীর বিক্রয়কর্মী মো. আশরাফ পারভেজ বলেন, ছেলেরা বেশি কিনছেন পারফিউম। পাশাপাশি কেউ কেউ কিনছেন ব্রেসলেট ও গলার চেইন।
সানাই সাজ ঘরের সত্তাধিকারী শ্রী সুমন বলেন, প্রতি ঈদেই আমাদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। রোজার শুরু থেকেই বেচা-বিক্রি ভালো ছিল। তবে শেষ মুহূর্তেও জমে উঠেছে কেনাকাটা। আমরা যেমন আশা করেছিলাম এর চেয়ে ভালো চলছে। ঈদের আগে জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের বেচাবিক্রি বেশি হয়। বিশেষ করে নারীদের পণ্যগুলো বেশি চলে। আমাদের দোকানে এসে ক্রেতারা বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে পারছেন। কসমেটিকস সামগ্রীর আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে দাম আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম সদস্য মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মানুষের কেনাকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে বাজারে অনেক ভিড়। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবাই।##
Tags
বাংলাদেশ