Daily News BD Online

ঈদের তৃতীয় দিন ঘুরতে আসা,আমানীপুর পার্ক পর্যটকের ঢল নেমেছে


আব্দুল হামিদ, জেলা প্রতিনিধি: 
ঈদ মানেই আনন্দ,ঈদ মানেই ওদিক সেদিক ঘোরাঘুরি। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে অর্ধশতাদিক দর্শনীয় স্থানে ভিড় করেছেন প্রকৃতিপ্রেমী দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। আমানিপুর পার্ক প্রকৃতির লীলাভূমি খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান,মাদবকুন্ড,হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেইক,হাকালুকি হাওর,লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাইক্কাবিলসহ অর্ধশতাদিক পর্যটন কন্দ্র হাজারও পর্যটকদের পদচারণে মুখরিত। ঈদের ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রে প্রচুর পর্যটকের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।গত করোনা ভাইরাসের কারনে ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো অনেকটা বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার তা নেই। তাই এবার মৌলভীবাজারে পর্যটকরা যেন হই হুল্লোর আর আনন্দের বন্যা। দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত,মাধবকুন্ড,হামহাম,লাউয়াছড়াজাতীয় উদ্যান,আমানীপুর পার্ক ছায়া নিবিড় পরিবেশে অবস্থিত নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক,এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর,জেলার প্রতিটি উপজেলায় উঢ়ু নিচু টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান,খাসিয়া পল্লী,খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা,সাত রংয়ের চা,হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান,চা গবেষণা কেন্দ্র,ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ী,মুরইছড়া ইকোপার্ক,গগণ ঠিলা,বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, মনু ব্যারেজ,কমলারানীর দিঘীসহ অর্ধশতাদিক মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই জনপদে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও পর্যটন ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সাদাপোশাকেও নিযুক্ত রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।নিয়ে পর্যটক নারী/পুরুষরা দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন- প্রথম দিনে উন্মুক্তভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসছি। অপরুপ দৃশ্যবলী দেখে খুব আনন্দ লাগছে। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে গুরুত্বারোপ করতে হবে। পর্যটন মৌসুম শীতকাল অন্যদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশী-বিদেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সেই সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পর্যটকদের আগমনে আশার প্রদীপ জ্বলেছে।দীর্ঘ দুই বছর করোনার কারণে পর্যটন স্পট বন্ধ ছিল তাই ঘুরতে পারিনি। এবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি অনেক ভাল লাগছে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারনে কোথায়ও ঘুরতে যেতে পারিনি। এ বছর উন্মুক্তভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘোরতে পারছি। খুব আনন্দ লাগছে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো  আব্দুছ সালেক অফিসার ইনচার্জ বলেন, পর্যকদের নিরাপত্তা দিতে প্রত্যেকটা স্পটেই আমাদের লোক নিয়োজিত আছে। এছাড়া মোবাইল টিমসহ বিভিন্ন স্পটে স্পটে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে আমি নিজেও মাঠে কাজ করছি। পর্যটকদের হয়রানি কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এনিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, পর্যটন স্পটে যাতে কোনো পর্যটন হয়রানির শিকার না হন এ জন্য স্পটগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো মৌলভীবাজার জেলায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ঈদে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নির্ভয়ে যেন পর্যটকরা আসেন এবং নিরাপদে ভ্রমন শেষে বাড়ি ফিরবেন সেজন্য সব ধরনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। মৌলভীবাজার নিরাপদে পর্যটকদের মুখরিত ভ্রমন হোক চা ও জল কন্যাসহ অর্ধশতাদিক প্রকৃতির লীলাভূমিতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবে পর্যটকরা এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন