Daily News BD Online

ঝিনাইগাতীতে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার টিনসেড দোকান ঘর উচ্ছেদ


গোলাম রব্বানী-টিটু, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি :

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অসুস্থ এবিএম সিদ্দিকের পুরাতন দোকান ও টিনের নতুন ঘর সহ ২৮ শে এপ্রিল গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উচ্ছেদ করা হয়েছে । উচ্ছেদের আগে সিদ্দিকের নিজস্ব লোক দিয়ে আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোকান ঘর ভাংচুরের কাজ শুরু করে । খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনার লোকজন নিয়ে ছুটে আসেন উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল কবীর এসেই তিনি বেকু দিয়ে পুরাতন ঘর ভাংচুর করতে নির্দেশ প্রদান করেন । এর আগেই ২৭ এপ্রিল বুধবার একটি বেকু নিয়ে ওই জায়গায় রেখে আশপাশ এলাকায় উচ্ছেদের আতংক সৃষ্ঠি করা হয় । জানা গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধ বনকালি নিবাসী আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে ২০ বছর আগে ১০ লাখ টাকা দিয়ে  এই ভূমি ক্রয় করেন আমিরিকা প্রবাসী এবি এম সিদ্দিকের একমাত্র ছেলে হায়াত মাহমুদ লিটন । তিনি ক্রয় করে ঘর ভাংচুর করে জনস্বার্থে চলাচল করার জন্যে উম্মক্ত করে দেন । চলতি বছরে ফেব্রয়ারীতে দেশে অসুস্থ পিতাকে দেখতে এসে উম্মুক্ত জায়গায় নতুন টিনসেড একটি ঘর উত্তোলণ করেন । এতেই চোখ পড়ে সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল কবীরের । তাকে ঘর উত্তোলণের নোটিশ না দিয়ে মৌখিক বাধা প্রদান করলেও তা কর্নপাত করেনি সিদ্দিকের লোকজন । ঈদুল ফিতরের আগেই ভাঙার সিদ্ধান্ত থাকলেও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদকে ঈদের জন্যে সময় চাওয়া হলে তা মজ্ঞুর করেন । ঈদ শেষ না হতেই ২৭ এপ্রিল বুধবার বিকালে সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল কবীর ভাড়াটিয়াদের ডেকে নিয়ে রাতের মধ্যে মালামাল সরিয়ে ফেলতে সকালে উচ্ছেদের কথা  বলে দেন । ২৮শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনা স্থলে পৌছে  সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল কবীর ও অন্যান্য লোকজন নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ।এবিএম সিদ্দিক ও তার পরিবার বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করে । চিকিৎসার জন্যে গত মাসে ২৬ তারিখে ঘরবাড়ি দোকানপাঠ ফেলে চলে যায় আমেরিকায় । এই সূবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকানঘর ভাঙার কারণ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে । ৫ বছর আগেও ভূমি অফিস সংলঘ্ন তার কোটি টাকার একটি বাড়ি গ্রহণ করেন সরকার । এলাকাবাসী জানায় ঝিনাইগাতী পুরো বাজার সহ বাড়িঘর সরকার খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত এবং সিদ্দিকের আশপাশের বাড়ি ঘরের অবস্থা একই তা রহস্যজনক কারণে ফাইল লালফিতায় বন্ধি । এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল কবীর জানান আমি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি । তাকে উচ্ছেদের নোটিশের কথা বলা হলে তিনি জানায় আমি আসার আগে বিগত দুই বছর আগে নোটিশ প্রদান করেছে বলে জানান । সরকারি জমি উদ্বারের পর কি অবস্থায় থাকবে পশ্নের উত্তরে তিনি জানান আপাতত সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকবে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান । হায়াত মাহমুদ লিটন জানান আমাকে কোন নোটিশ প্রদান করেনি । সরকারি জমি উদ্বারের পরেই একজন কর্মকর্তা সিএনজি/ অটো স্টেন্ড করা হবে বলে ঘোষণা দেন এতেই প্রতিয়মান হয় এখানে তৃতীয় পক্ষের লিয়াজু রয়েছে । আমি বলেছি নিজেই সরিয়ে নিব তা না শুনে তড়িঘড়ি করে অভিযান করেছেন এ ছাড়াও আমার আশপাশে অনেকেই সরকারী জায়গা দখল করে আছে তা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাগণ । আমার কোটের্র একতরফা রায় আছে তারা কাগজ দেখতে চায় না । আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্ব পরিবারে আমেরিকায় বসবাস করি বলেই আমাকে সময় দেয়া হয়নি বলে জানান ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন