Daily News BD Online

সাতক্ষীরা কলারোয়ায় চেয়ারম্যান ডালিমের সংবাদ সম্মেলন


খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরার :

কলারোয়া উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বুধবার বিকালে তার পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- গত ১১ এপ্রিল২৩ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক কালের  চিত্র, দৈনিক কাফেলা ও নিউজ অফ কলারোয়া (অনলাইন নিউজ) প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবরে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে আমি তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদে পরিষদের  বিভিন্ন ভাতার কার্ডের বিষয়ে যে অনিয়ম তুলে ধরেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
 বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধীভাতা,গর্ভকালীনভাতা এগুলো সরাসরি (জি টু পে) অথ্যাৎ সরাসরি গ্রাহকের মোবাইলে প্রেরিত হয় । যা গ্রাহক তার নিজস্ব পিন নাম্বার দিয়ে টাকা উত্তোলন করে । এখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যর কোন হস্তক্ষেপ থাকে না।
 আমার ইউনিয়নের ৯৩৮জন টিসিবি কার্ডধারী ব্যাক্তি টিসিবি পন্য প্যাকেজ অনুযায়ী সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে । আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের যে তালিকায় সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন সেই তালিকায় অন্তর্ভূক্তরায়  টিসিবির কার্ডধারী।
 আমার ইউনিয়নে ১৩২৫জন ব্যাক্তি ১৫টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ডধারী সুবিধা ভোগ করে , তাহারা  প্রতিমাসে ডিলারের মাধ্যমে তাদের চাউল উত্তোলন করে। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যর কোন হস্তক্ষেপ থাকে না। উক্ত ১৫টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ডের তালিকা সরকারের বিধি ও নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নির্ধারন করা হয় । ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের  ৩০৭জন উপকারভোগীর মধ্যে ১০৫জন জন ব্যাক্তি পরিষদে এসে সঠিক সময়ে অনলাইন করতে না পারার কারণে তাহাদের কার্ড বাতিল হলে সেই সমস্থ ব্যাক্তির নাম পুনরায় অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এবং ৭০জন ব্যক্তি মৃত এবং  তাহাদের স্ত্রীদের নামে ভিজিডি কার্ড থাকার কারনে তাহাদের নাম বাতিল করা হয়েছে। ইহা ছাড়া ৪৩ জন ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড থাকার কারনে তাহাদের নাম বাতিল করা হয়েছে। ৩৫ জন ব্যাক্তি আর্থিক ভাবে সচ্ছল হওয়ায় অনলাইন না করলে এবং কার্ড নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাহাদের নাম অফিস থেকে বাতিল করা হয়েছে। ১৯ জন ব্যক্তির বেনামি কার্ড (যে গুলো সাবেক চেয়ারম্যান মো.মনিরুল ইসলাম নিজে উত্তোলন করতেন) এবং ৩৩জন ব্যক্তি আর্থিক ভাবে সচ্ছল ও প্রবাসী হওয়ায় সেই সকল ব্যক্তিদের কার্ড বাতিল করে অসচ্ছল ব্যাক্তিদের প্রদান করা হয় যাহার তালিকা অফিসে এবং ডিলারের কাছে রয়েছে। উক্ত সংবাদে প্রকাশ করা হয় যে ৮৬৯ নং কার্ড নাকি আমার বাবার নামে অন্তর্ভূক্ত কিন্ত উক্ত কার্ডের নং এ সুবিধাভোগীর নাম মোছা. রিজিয়া খাতুন ,পিতা-ফকির আহম্মেদ সাং-রামভদ্রপুর।
 আমার ইউনিয়নে ২৭৪জন মহিলা ভিজিডি কার্ডধারী সুবিধা ভোগ করে । তাহারা ফাষ্ট সিকিউরিটি ব্যাংক কলারোয়া শাখায় তাহাদের নিজেদের নামে এক্যাউন্ট খুলে এবং প্রতি মাসে চাউল গ্রহন করার সময় ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে টাকা জমা দিয়ে স্লিপ বুঝে নেয়।
 টি আর,  কাবিটা ,কাবিখা ,এডিবি ,এলজিএসপি,পিইসি ও বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা মাসিক মিটিং দিয়ে মেম্বারদেরকে নিয়ে সমন্বয় করে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেমন,কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৫হাজার , মদনপুর দাখিল মাদ্রাসায় ৫০হাজার ,বিক্রমপুর দক্ষিন পাড়া মসজিদে ৫০হাজার,কাদপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদে ৫০হাজার,হিজলদী পশ্চিমপাড়া মসজিদে ৫০হাজার,চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজে ৫০হাজার , টি আর এর টাকায় চান্দুড়িয়া গ্রামে ইটের সোলিং রাস্তা করা হয়, এছাড়া চলতি বছরের কাবিটার কাজ অভিযোগকারী ইউপি সদস্য মোঃ আঃ লতিফ নিজে করেছেন এবং নিজেই প্রকল্পের সভাপতি। অভিযোগকারী ইউপি সদস্য মোঃ হুমায়ন কবির তিনিও গতবছরের কাবিটার কাজ নিজে করেছের এবং উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ও অন্যান ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিজে করেছের এবং উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। প্রত্যেকটা প্রকল্পের রেজুলেশন ইউনিয়ন পরিষদে আছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পওয়ার পর থেকে অদ্যবধি প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ছবি এবং রেজুলেশন আছে এবং প্রতি মাসের মাসিক মিটিং প্রতি মাসেই করা হয় যাহার ছবি এবং রেজুলেশন রয়েছে। এবং অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা বলেছেন প্রকল্প দেওয়ার জন্য তাহাদের নিকট হতে অর্থ নেওয়া হয়েছে যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ uno মহোদয় ও পিআইও অফিসার প্রত্যেকটা কাজ পরিদর্শন করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।
 জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারেশ এর সনদের সরকার নির্ধারিত ফি সরাসরি ব্যাংকে জমা হয় । কোন অতিরিক্ত ফি গ্রহন করা হয়না । অভিযুক্ত  ইউপি সদস্যরা বিনামূলে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং সেটা না দেওয়ার কারনে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা বলেছেন তাদের সই নাকি নকল করা হয় এবং সাদা খাতায় সই করে নেওয়া হয় কিন্তু সরজমিনে দেখা যাই কোন রেজুলেশনে তাদের সই নকল করা হয়নি।
 ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় এবং চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে উক্ত টাকা পরিষদের বিদ্যুৎ বিল সহ আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যায় করা হয় যাহার ব্যায় ভাউচার পরিষদে রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের উত্তোলনকৃত ট্রাক্স এর টাকা হতে ইউপি সদস্যদের সম্মানিভাতা প্রদান করা হয় । এবং উত্তোলনকারীদের কমিশন দেওয়া হয় এবং বাকিটাকা উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
রাস্তার দুই ধারের আম গাছ গুলো সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আজিজ আহম্মেদের হাতে লাগানো। কেয়ারটেকার হিসেবে ৫০% অংশীদার মৃত আশরাফ হোসেন সচিব ও কাশেম আলীকে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করেন এবং ৩০% চাষীরা ও ২০% ইউনিয়ন পরিষদ পাইবে । সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির সময়ে তিনি কাউকে কোন টাকা দিতেন না । টাকা চাওয়ার জন্য তিনি হিজলদী গ্রামের আহাদ ও সাবেক মেম্বর নজরুল ইসলামকে মারধর করেন। যেটা তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এবং তিনি রাস্তার দুই ধারের গাছ নিজে লাগিয়েছেন বলে দাবী করেন। যেটা সম্পূর্ন মিথ্যা ।
 হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে আমি নাই সেখানে ত্রিশ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য করা সম্পূর্ন মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন , চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটিতে আমি সদস্য মাত্র । অধ্যাপক আবু নসর সাহেব সভাপতি সরকারি বিধি অনুযায়ী ফ্রি এন্ড ফেয়ার নিযোগ দেওয়া হয়। চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোটের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রদানের সময় অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও মহোদয় নিয়োগ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পুনরায়  ফ্রি এন্ড ফেয়ার নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন  করা হয়। কিন্ত বিগত দিনে গাজী রবিউল ইসলাম পকেট কমিটির মাধ্যমে চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয় ও সদস্য মফিজুল ইসলাম। তারা হেডমাষ্টার সহ পাঁচটি পদে নিয়োগ প্রদান করে । যেখানে ৭৫লক্ষ  টাকা নিয়োগ বানিজ্য হয়। এবং তৎকালীন সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২১দিন প্রতিষ্ঠানটি তালা বদ্ধ করে রাখে। তৎকালিন সময়ে প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে ও আদালতে একটি মামলা হয় যেটা এখনও চলমান। পরবর্তীতে প্রসাশনের সহযোগিতায় উক্ত প্রতিষ্ঠান আবার চালু হয়। চন্দনপুর দাখিল মাদ্রাসায় বিগত দিনে সভাপতি ছিলেন মনিরুল ইসলাম মনি। তিনি আট লক্ষ টাকার বিনিময়ে গার্ড নিয়োগ দেন বিক্রমপুরের পল্টুকে। এবং পুরাতন ভবনটি ভেঙে তার ইট এবং টিন গুলো নিজের কাজে ব্যবহার করেন। নতুন বিল্ডিং করে দেবেন বলে প্রতিশূতি দিয়েও করে দেননি।
 গাজী রবিউল ইসলাম ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন । তার গোটা পরিবার বিএনপি জামাত। তারা বাবা রাজাকার ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপরাজনীতি করেন। সাংগঠনিক কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করেন না। সংগঠনের কোন নেতা কর্মীর সাথে তার সম্পর্ক নেই।তিনি দুইবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজয় বরন করেন। এবং তিনি  তার নামের সরকারী টি আর বরাদ্দের টাকার কোন কাজ না করে টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি চন্দনপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন কলেজের নিয়োগ বানিজ্য করেন। কলেজের ফান্ডের সমূদয় টাকা লোপাট করেন। তদন্ত করলে তার সত্যতা বেরিয়ে আসবে। মফিজুল ইসলাম তিনি জাতীয় পার্টি করতেন , পরবর্তীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হন।তিনি কলারোয়াতে থাকেন ,দলীয় কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করেন না। তার গ্রামের  বাড়ি সুলতানপুরে জামাতের মহিলা সংগঠনের সাপ্তাহিক বৈঠক হয়। তিনি বিগত দিনে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজয় বরন করেন।
 আমার দাদা মৃত রহিম বক্স এর নামে  নামে বর্তামনে বি আর এস খতিয়ান নং-৩৪৬ জমির পরিমান ৫একর ১৪শতক,খতিয়ান নং-১৫ জমির পরিমাণ-৬একর ১৮শতক ,খতিয়ান নং- ৪২৩/১ জমির পরিমাণ – ২ একর ৯শতক। আমার পিতা মোঃ আব্দুল হামিদ এর নামে বর্তমানে খতিয়ান নং-২৬৩ জমির পরিমাণ ৬২ শতক,খতিয়ান নং- ৩০৮ জমির পরিমাণ-১৩শতক আমার মাতার নামে ১ একর ১৬শতক জমি রয়েছে এছাড়া আরও অনেক জমি আমাদের রহিয়াছে যেগুলোর কাগজপত্র আমাদের রহিয়াছে। আমার বড় ভাই বুলবুল ফরিদপুরে প্রতিষ্ঠিত , মেজভাই হাফেজ শফিউল্লা চালিতাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেজভাই মো. রফিকুল ইসলাম মাঠের জমি দেখাশোনা করেন, নভাই হাফেজ আহসান হাবিব নওয়াপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত এবং তার ছেলে চিটাগাং চাকুরীরত অবস্থায় আছেন, তভাই মো. আসাদুর জামান গয়ড়া বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও দুইটা নিজের গভীর নলকূপ ও মাছের ঘের নিজের জমির উপর যেটা তিনি নিজেই দেখাশোনা করেন এবং ছেলে গোপালগঞ্জে চাকুরীরত অবস্থায় আছেন, ছয় নং ভাই মো. সোহাগ হোসেন ঢাকাতে আছেন ,সাত নং ভাই মো. মাসুদ হোসেন বাড়িতে অবস্থান করছেন , আট নং আমি নিজেই , নং ভাই মো. তুষার হোসেন বাবু চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে রয়েছেন । আমার নিজ বাড়িতে যে বিল্ডিং এর কাজ চলছে তা ২০১৯সালে কাজ শুরু হয় যা এখনও চলমান। অভিযোগকারীরা বলেছেন যে দুই কোটি  টাকার বিল্ডিং যেটা সঠিক নয়। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে সতের মাস দায়িত্ব পালন করছি। এই সময়ের সরকারের বিশ লক্ষ টাকার কাজও আমি করি নাই। তাহলে দুই কোটি টাকার সরকারি সম্পদ কিভাবে তছরূপ করলাম এটা আমার প্রশ্ন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন