মোঃ কবির হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রবেশপত্র বাবদ অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বছর উক্ত বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১২০ জন।সূত্র জানায়, নিজ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়ে আসতে খরচ হয় দাবি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় করে থাকে। প্রতিজন ৭০০ টাকা হারে এ বছর উক্ত বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮৪,০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সে হিসেবে মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৩১১ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় হবে ২,১৭,৭০০টাকা। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর দেয়ার আশ্বাস দিয়েও পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করা হয়। কোনো পরীক্ষার্থী এ অতিরিক্ত অর্থ দিতে না চাইলে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ‘কারণে অকারণে আমাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। পরীক্ষার কেন্দ্র কাছে আনার অযুহাতে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়। অনেক শিক্ষার্থীর আর্থিক সমস্যা রয়েছে। এ ধরণের অর্থ আদায় পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়ায়।’ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ কয়েকজন মিলে প্রতিবছর এমন অর্থ আদায় করে আসছেন। এ অর্থের খুব কমই শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা হয়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘আমি একটু ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’ কিন্তু পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘ কেন্দ্র ফি ফর্ম ফিলাপের সময় নেয়া হয়। পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র আটকে রেখে অর্থ আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখছি।
Tags
বাংলাদেশ