Daily News BD Online

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভূমি অফিসে থামছে না ঘুষ বানিজ্য (দেখুন ভিডিও)


নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট (রাজশাহী) :
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলাতে কিছুতেই থামছে না ঘুষ বানিজ্য । কয়েক মাস অগেই ভিডিও ভাইরালে তহশীলদার সাসপেন্ড হয়েছিলেন । কিছুতেই থামছে না এই অফিসের ঘুষ বানিজ্য । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উপজেলা ভুমি অফিসে খারিজ করতে আসা এক ভুক্তভূগীকে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি খারিজের ডিসিআরের জন্য সরকারি ১১৫০/ টাকা দিতে এসে বাধ্য হয়ে ২০০০/- টাকা দিতে হচ্ছে । অফিসের জমা সহকারী জীবননেছা মুক্তি জানান তিনি ২০০০/- টাকার কম হলে নিতে পারবেন না । তার সাথে থাকা অফিসের পিয়ন মোকলেসুর জানায় আপনার টাকা কি আমরা পকেট থেকে দিব । নাজির সাহেবের কাছে প্রত্যক ফাইলের জন্য ২০০০/- করে টাকা দিতে হয় । ভূক্তভগেী জমা সহকারীকে বলেন আপা মনটা নরম করে ১৫০০/- টাকা নেন । কিন্তু কে শোনে কার কথা । তিনি টাকা কম নিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন । এবং বিরক্ত বোধ করেন । অবশেষে ভুক্তভোগী ২০০০/- টাকা দিতে বাধ্য হন। এমন ভাবেই দিনের পর দিন চারঘাট উপজেলার লোকজন এদের কাছে জিমি্ম হয়ে গেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন খারিজ করতে গেলে অফিসের নাইটগাড রমজান কে আবেদন করতে দিতে হয় ৫০০/- টাকা । তিনি এই অফিসে ৯ বছর যাবৎ রয়েছে । তিনি এসব ঘুষ বানিজ্যর মধ্যস্থতা করেন । তারপর জমা সহকারী কে ২০০/- দিয়ে ফাইল জমা দিতে হয় । নায়েব কে ১০০০/- দিয়ে রিপোট নিতে হয় । সাভেয়ার কে দিতে হয় ৮০০/- শুনানীর সময় ২০০ টাকা মোকলেসকে দিতে হয় । নোটিশের জন্য আনোয়ার কে ২০০/-। আবুল হোসেনকে ম্যাপ করার জন্য ২০০/-দিতে হয় । তারপর কেস পাস হলে জমা সহকারীকে ২০০০/- টাকা দিতে হয় । তারপর তহশীল অফিসে হোল্ডিং খুলতে গেলে ৫০০/- এটাই হলো এই অফিসের বাস্তব ঘুষ বানিজ্যর চিত্র ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন