ফারুক মিয়াঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদ ও আওয়ামীলীগ নেতাদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগে থমথমে পরিবেশ পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে চাল বিতরণ স্থগিত।
বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল বিকাল ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নেতাদের অভিযোগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কারখানা পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর নিকট একত্রে ৭টি ভিজিএফ কার্ড পাওয়া যায়, ১টি তার নিজের বাকী ৬টা কারখানা পাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের নিকট হতে ২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছে বলে জানায় সে।
অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে জানানো হয়, আমরা নিয়ম অনুযায়ী মাস্টারোল মোতাবেক চাল বিতরণ করতেছি, তারা (গফুর আর্মীর লোকজন) এসে চাল বিতরণে বাঁধা গ্রস্থ করে, চাল বিতরণের ব্যানার ছিড়ে ফেলে, ইউনিয়ন পরিষদের ২তলায় আগুন লাগে। এর ফলে আজকে চাল বিতরণ স্থগিত রাখা হয়েছে।
ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ গফুর আর্মী বলেন- গত ঈদে যেসকল গরীব মানুষ চাল পেয়েছে একই লিস্ট অনুযায়ী বিতরণের ফলেও অনেক গরীব মানুষ এ চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান, মেম্বার রা লোকের মাধ্যমে কার্ড বিক্রি করছে, গতকালও একজনকে ১১০ কেজি চাল সহ আটক করা হয়েছিল, আজও ৬টি কার্ড সহ ধরেছি, এভাবে পাহাড়া দিয়ে চোর ধরা কঠিন কাজ। আমি এবিষয়ে ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট চাল চোরের বিচার দাবী করছি।
এবিষয়ে ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব মিথ্যে, আমি ইউএনও স্যারকে ঘটনা বলেছি, এখন কোন বক্তব্য দিতে আমি প্রস্তুত নই।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা বলেন এ বিষয়টি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব আর যে চাউলটা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল আজ শুক্রবার টেক অফিসারের মাধ্যমে চাউলটা বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও জানা গেছে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছে। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্র ধর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা দলীয় নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ভিতর সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা ছিল আমি পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার সক্ষম হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষের দু'পক্ষের প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।