জাহিদ হাসান মিশু, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর তুরাগে এক পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে তার সৎ মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।তুরাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার জানান রোববার বিকেলে তুরাগের ডি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কে পুলিশের কনস্টেবল রবিউল আলমের বাসা থেকে তার সৎ মেয়ে মুভির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মুশফিকা নাজনীন মুভি তুরাগ এলাকার স্থানীয় একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তার নিজের বাবা মুবিন মোল্লা ছিলেন সৌদি প্রবাসী বাড়ি যশোরে, প্রায় এক যুগ আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি, বছর তিনেক আগে কনস্টেবল রবিউল আলম কে বিয়ে করেন মুশফিকের মা শ্যামলী আক্তার, এক বছরের একটি ছেলে আছে, দুই ছেলেমেয়েকে নিয়েই শ্যামলী তার দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে থাকেন। কনস্টেবল রবিউল আলমের দাবি মুশফিকা নাজনীন মুভি আত্মহত্যা করেছে অন্যদিকে মুশফিকার নাজনীন মুভির চাচা রুহুল আমিন বলেন এই মৃত্যুর পেছনে রবিউলের হাত আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তুরাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন ছোট ভাইয়ের সাথে মোবাইলের সিম খোলা নিয়ে ঝগড়া হয় মুশফিকার এ থেকেই সে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার সৎ বাবা দাবি করেছেন। তুরাগ থানার এস,আই উপমা কুন্ডু গণমাধ্যমিকদের জানান খবর পেয়ে তিনি ওই বাসায় গিয়ে দোতলার একটি কক্ষ থেকে মুশফিক এর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামান, মুশফিকার ছোট ভাই জানালা দিয়ে বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে বাসার সবাই আসে এরপরে তারা পুলিশকে খবর দেয়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে মুশফিক এর মৃত্যুর খবর পেয়ে চাচা রুহুল আমিন ও চাচাতো ভাই মনির সহ কয়েকজন আত্মীয়-ঢাকায় আসেন রুহুল আমিন বলেন মুশফিকা নাজনীন মুভি আত্মহত্যা করার মত মেয়ে নয়, মুশফিকা নাজনীন মুভি ছিল খুবই শান্ত শিষ্ট, যদি আত্মহত্যায় করে থাকে তাহলে এর পেছনে বড় ধরনের কোন কারণ রয়েছে, মুশফিকা নাজনীন মুভি বেশ সুন্দরী হওয়ায় এক্ষেত্রে তার সৎ বাবাকে সন্দেহের বাইরে রাখছি না, এ ঘটনার পেছনে সৎ বাবার কোন ভূমিকা আছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা জরুরি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বাবার নামের জায়গায় সৎ বাবা রবিউলের নাম থাকায়়'বিস্ময়' প্রকাশ করে রুহুল আমিন বলেন মুশফিকার নাজনীন মুভির মৃত্যুর পেছনে সৎ বাবার কোনও হাত থাকতে পারে, এ বিষয়ে এসআই উপমা কুন্ডু বলেন, মুশফিকার নাজনীন মুভির স্কুল কলেজে বাবার নাম রবিউল আলম আছে মমিন মোল্লা নেই তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা যা বলেছে তাই লেখা হয়েছে। তুরাগ থানার ওসি হাওলাদারও জানিয়েছেন, রবিউল আলম যে মুশফিকার নাজনীন মুভির সৎ বাবা সেটা তারা পরে জানতে পেরেছেন, আর এস আই উপমা কুন্ডু বলেছেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে কিনা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে, এদিকে স্কুল কলেজ সহ সব জায়গায় মুশফিকার এর বাবার নাম পরিবর্তনের পেছনে কোন রহস্য আছে মন্তব্য করে চাচা রুহুল আমিন বলেন তারা চাইছিলেন যশোরে বাবার কবরের পাশে মেয়ের দাফন হোক কিন্তু মুশফিকের মা তাতে রাজি নন, মুশফিক এর মা শ্যামলী আক্তার এবং মামা রিপনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ধরেননি।
ওসি হাওলাদার জানিয়েছেন মুশফিকার নাজনিন মুভির মৃত্যু ও বাবার পরিচয় নিয়ে তার চাচা থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে।
Tags
বাংলাদেশ