Daily News BD Online

নিকলীতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


মোঃ হাবিব মিয়া, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) :


কিশোরগঞ্জ নিকলীতে মুজিবনগর দিবস ২০২৩ইং উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নিকলী উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে,এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাকিলা পারভীন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইউ ডি এফ দূর্গা রানী সাহা, এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতিলতা বর্মন,উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শামছুল হক রাকিব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুজ্জামান হাবীব, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসিফ ইমতিয়াজ মনির,বীর মুক্তিযোদ্ধা  সাবেক কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সোহাগ মিয়া, নিকলী জি.সি পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কারার আব্দুর রশিদ, শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাফিউদ্দিন, ইউ ডি এফ দূর্গা রানী সাহা, উপজেলা এনজিও কর্মকর্তা মহাবুর রহমান , নিকলী প্রেস ক্লাবের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুর রহমান রিপন, নিকলী প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক জয়দেব আচার্য, নিকলী প্রেসক্লাবের  অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ হাবিব মিয়া, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক , শিক্ষার্থীরা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ প্রমুখ।
 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) নিভৃত এক আমবাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার। পরে ওই আমবাগানকে ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন মুজিবনগর সরকারের শপথের মধ্য দিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিও ঘটে এ সরকারের দক্ষ পরিচালনায়।

মুজিবনগরে সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। এর আগে, পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এরপর ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। এরপর ১০ এপ্রিল বিপ্লবী সরকার গঠন ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে সেই সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন