Daily News BD Online

নওগাঁয় বড় বোনের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার ছোট ২ বোন ও ভগ্নীপ্রতি


এ.বি.এম.হাবিব :
নওগাঁয় বড় বোনের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার ছোট ২ বোন ও ভগ্নীপ্রতি।

সদর উপজেলার হাঁসাগাড়ী ইউনিয়নের চক আবরুশ গ্রামের মোঃ এরশাদ আলীর স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে মোকাম নওগাঁ ফৌজদারী আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তার নিজ ছোট দুই বোন ও ভগ্নীপ্রতি বিরুদ্ধে। 

জানা গেছে, মামলার বাদীনির মা আয়েশা বেগম তার মেঝো মেয়ে তারা বেগমকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। সেখানে বসবাস করা অসস্থায়  আয়েশা বেগম এর জমি তিন মেয়ে জোসনা বেগম, তারা বেগম  ও রশিদা বেগমকে সমান ভাগে রেজিষ্ট্রী করে দেন।  বড় মেয়ে তার ভাগের জমি বিক্রয় করে দেন।

আরো কিছু জমি মেঝো মেয়ে তারার বড় সন্তান আকাশ আলীকে লেখে দেন, তারার মা।  তারার স্বামী বিদেশে থাকায় মায়ের সাথেই থাকেন এবং দেখাশুনা করতেন।

পরবর্তীতে আয়েশা বেগম অসুস্থ্য হওযার পরে মেঝো মেয়ে তারা বেগম দেখাশুনা ও চিকিৎসা করেন। এবং বেশি অসুস্থ্য হওয়ার পরে তার চিকিৎসার জন্য তারা বেগম ও ছোট মেয়ের স্বামী ফায়সাল আলী মিলে আয়েশা বেগম এর রেখে যাওয়া ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জমি বন্ধক নেয়। অসুস্থ্য সময়ে বন্ধকিয় জমির টাকা ফেরৎ না পেয়ে তিন  মেয়েদের পরামর্শ ক্রর্মে টাকা মেঝো মেয়ে তারা বেগম ও ছোট মেয়ের স্বামী ফায়সাল আলী প্রায় ৭ লক্ষ টাকা চিকিৎসা ব্যয় করেন। যেহেতু চিকিৎসা ব্যায় ফায়সাল করেছে তাই ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জমি বন্ধক নেওয়া জমির টাকার কাগজ করে দেন  ফায়সাল এর  মেয়ে মোছা. ফাহমিদা খাতুনের নামে। কিছুদিন চিকিৎসা চলা কালে আয়েশা বেগম মারা যান।
আয়েশা বেগম মারা যাবার পরে বড় মেয়ে তার মায়ের ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও গরু আছে বলে দাবী করেন । এবং স্থানীয় ভাবে বৈঠকও হয়। সেখানে সমাধান না হলে আদালকে মামলা করেন।

মামলা সূত্রে  সেখানে গিয়ে মামলার স্বাক্ষীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মামলায় তাদের স্বাক্ষী বানিয়েছে সেটা কেউ কিছূই জানে না।
এবিষয়ে মামলার বাদী জোসনা বেগম বলেন, আমি আমার মা কে দেখাশুনা করেছি। আর মায়ের হাতে রেখে যাওয়া গরু জমি ও নগদ টাকা ছিল আমাকে ফাঁকি দিয়ে আমার দুই বোনসহ ছোট বোনের স্বামী ফায়সাল আলী আত্নসাৎ করার চেষ্টা করছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

মামলার স্বাক্ষী মোয়াজ্জেম মোল্লা বলেন, আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। আমাকে না জানিয়ে এই মামলার স্বাক্ষী দিয়েছে। যে বিষয়ে মামলা করেছে এটা পুরোই মিথ্যা ।

মামলার স্বাক্ষী ফুটু মোল্লার স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়,  আমার বাড়ির পাশে বাড়ি তাদের, আর মামলা করবে সেখানে আমার স্বামীকে বলেনি, আমার স্বামী ঢাকায় রিক্সা চালায়এ রকম কোন ঘটনায় হয়নি তারপরও আমার স্বামীকে স্বাক্ষি করেছে আমারা মামলা কিছু্ই জানি না । আর মামলাটাও মিথ্যা তাই এখনো আমাদের বলেনি।

এবিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফায়সাল বিন আহসান বলেন, এ মামলা তদন্ত এসেছিল, তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া ছিল। এবং তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন