খান আল মাহবুব হুসাইন (সাতক্ষীরা) :
- পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলার ৯৬ টি ইট ভাটার মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে মাত্র ২৪ টি, বাকি ৭২ টি ইট ভাটার নেই কোন ছাড়পত্র।
- ডিসি অফিসের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলায় ইট ভাটার ইট পোড়ানো লাইসেন্স প্রাপ্ত সংখ্যা ৩৬।
- পরিপত্রের বিধিমালা অনুসারে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীন ইস্যুকৃত পরিবেশগত
ছাড়পত্র ব্যতীত জেলা প্রশাসকের নিকট ইট পোড়ানো লাইসেন্স এর জন্য আবেদন
করিতে পারিবে না।
- জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে লাইসেন্স ব্যাতিত কোন ব্যক্তি ইট ভাটা স্থাপন কিংবা ইট প্রস্তুত করিতে পারিবে না মর্মে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইট ভাটা।
সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বৈধ কাগজ ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিতভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইট ভাটা। যত্রতত্র ব্যাঙেরছাতার মতন গজে ওঠা এসব ইট ভাটার নিষিদ্ধ জ্বালানিতে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে ৯৬ টি ইট ভাটার মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে মাত্র ২৪ ভাটার বাকি ৭২ ইট ভাটার নেই কোন পরিবেশগত ছাড়পত্র। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সুত্র মতে, সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে ইট ভাটার ইট পোড়ানো লাইসেন্স প্রাপ্ত সংখ্যা আছে মাত্র ৩৬। পরিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ইট ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট পরিবেশ অধিদপ্তর হতে সংগ্রহ করা পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ইট পোড়ানো লাইসেন্স প্রাপ্ত হবেন। তবে ব্লক তৈরির ক্ষেত্রে এইরূপ কোন লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে না।
নিয়ম আছে আবাসিক এলাকা, সংরক্ষিত এলাকা বা বানিজ্যিক এলাকা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য বাগান বা জলাভূমি, কৃষি জমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, ডিগ্রেডেড এয়ার শেড। এসব নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোন আইনের অধিন কোনরুপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স যে নামেই অভিহিত হোক প্রদান করিতে পারিবে না। পরিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি বনাঞ্চল থেকে দুই কিলোমিটার দুরত্বে ইটভাটা স্থাপন, এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরুপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান, কৃষি জমি, জনবসতি কিংবা জনবহুল এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার দুরত্বের মধ্যে ইট ভাটা স্থাপন করতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে কোন ইটভাটা স্থাপন করার পরে যদি উল্লেখিত কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সেক্ষেত্রে আইনের বিধিমালা অনুসারে যথাস্থানে স্থানান্তর করিবেন। অন্যথায় তাহার প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল হইবে। আবার যে সকল ইট ভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স আছে সে সকল ইটভাটা ইট প্রস্তুতের জন্য মাটির উৎস জেলা প্রশাসক কে অবিহিত করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন ইটভাটা এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত ইট ভাটার জ্বালানিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ উপাদান বা উপকরণ। নিষিদ্ধ উপকরণের মধ্যে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের গুড়ি, তুষ কাঠ, সয়াবিনের গাদ, টায়ারের গুড়া বা কালি। ইট ভাটার জ্বালানিতে এসব নিষিদ্ধ উপকরণ ভাটা মালিকেরা লাগামহীন ভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে অবলীলায় ব্যবহার করার কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট তথা পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। বিধিনিষেধ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও পুরোপুরি ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না বলে এ দাবি করেন বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক স্থানীয় ভুক্তভোগী ও সুশীল সমাজ।
- অনুমোদনহীন ভাবে যত্রতত্র গড়ে ওঠা ইট ভাটার জ্বালানিতে আইনের তোয়াক্কা না করেই অবলীলায় ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ কাঠ, টায়ারের গুড়া (কালি) সয়াবিন গাদ সহ অন্যান্য নিষিদ্ধ উপকরণ।
- অধিকাংশ লাইসেন্স প্রাপ্ত ও লাইসেন্স হীন ইটভাটা নিষিদ্ধ সীমারেখা জনবসতি, কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একেবারেই কাছাকাছি ইট পোড়ানো কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
- সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে দিনকেদিন কৃষি জমির হ্রাস, পরিবেশ দুষণ আর জনস্বাস্থ্য অতিমাত্রায় ঝুকিতে।
- পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য এবং ডিসি অফিসের তথ্য অনুযায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত ইট
ভাটার প্রাপ্ত নাম ঠিকানার অবস্থানগত দিক দিয়ে রয়েছে ব্যাপক অমিল।
- অবৈধ পন্থায় ইটভাটা কার্যক্রমে জেল জরিমানার বিধান থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে চলছে ইট পোড়ানোর মহোৎসব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে অবৈধভাবে যত্রতত্র ব্যাঙেরছাতার মতন গড়ে ওঠা ইট ভাটার মালিকরা রয়েছেন অদৃশ্য কারণে ধরা ছোঁয়ের বাইরে। তারা বলেন, অধিক লাভের আশায় বশিভূত হয়ে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কিছু সংখ্যক অসাধু ইটভাটা মালিকেরা অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম। এ ছাড়া লাইসেন্স প্রাপ্ত অনেক ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি জমি, জনবসতি এলাকা থেকে একেবারেই কাছাকাছি হওয়ায় এসব ইট ভাটার জ্বালানিতে নিষিদ্ধ উপকরণ ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য অতিমাত্রায় ঝুকিতে পড়েছে। তাদের মতে প্রতিনিয়ত ইট ভাটার জ্বালানিতে নিষিদ্ধ উপকরণ ব্যবহারে ভাটার চিমনি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ, কৃষি খামারের উৎপাদিত ফসলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সহ মানব দেহে ক্যান্সার, শ্বাস কষ্ট, এলার্জি সহ বিভিন্ন রোগেত প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে পরিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী কোন ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, কৃষি জমি ও জনবসতি এলাকায় নিষিদ্ধ সীমারেখার মধ্যে পড়লে বিধি মোতাবেক অন্যাত্রে সরিয়ে নিতে হবে। যদি কেউ অন্যাত্রে সরিয়ে না নেয় সে ক্ষেত্রে তার ইট ভাটার প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল বলে গন্য হবে। অথচ সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে অনেক ইটভাটা বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম। অনেক ইটভাটা আছে যাদের কোন পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই কিন্ত ইট পোড়ানো লাইসেন্স আছে। বিধি মোতাবেক পরিবেশ অধিদপ্তরের থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে ডিসি অফিসে ইট পোড়ানো লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্ত এখানে তার উল্টো চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি রয়েছে ৯৬ ইটভাটা, এর মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে মাত্র ২৪ টি ইট ভাটার, বাকি ৭২ ইট ভাটার নেই কোন পরিবেশগত ছাড়পত্র। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি ৩৬ ইট ভাটার আছে ইট পোড়ানো লাইসেন্স। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা সদরে ২৬ ইট ভাটার মধ্যে শুধুমাত্র ০৫ টি ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈধ এবং অবৈধ ইট ভাটার নাম ঠিকানা সহ ক্রমিক নং পত্রিকায় তুলে ধরা হলোঃ
(১) মেসার্স আর এস বি, সাতক্ষীরা সদর, ভাটপাড়া আখড়াখোলা, (২) মেসার্স এ ব্রিকস, মাছখোলা, (৩) মেসার্স সনি ব্রিকস, বেতলার মাঠ, লাবসা, ইট ভাটার আছে ইট পোড়ানো লাইসেন্স নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র (৪) মেসার্স সনি ব্রিকস, বেতলার মাঠ লাবসা (৫) মেসার্স নিউ সরদার ব্রিকস, নিমতলা ভারুখালি ছনকা রোড় (৬) মেসার্স আর বি এফ ব্রিকস, পূর্ব দহকুলা ব্রম্মরাজপুর (৭) মেসার্স এস বি ব্রিকস, বাবুলিয়া (৮) কে এন ব্রিকস, ইটাগাছা (৯) মেসার্স সানি ব্রিকস,দহকুলা, এল্লারচর, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই কোন ইট পোড়ানো লাইসেন্স, যদিও লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন দেখানো হয়েছে। (১০) মেসার্স সোনালী ব্রিকস, আলিপুর (১১) এ বি ব্রিকস, কুন্দরডাঙ্গা, (১২) মেসার্স রুমানা ব্রিকস, মাধবকাটি (১৩) মেসার্স নীট ব্রিকস, মাধবকাটি (১৪) মেসার্স এস বি ব্রিকস -১, মাধবকাটি, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (১৫) মেসার্স ঠিকানা ব্রিকস, মাধবকাটি, সাতক্ষীরা সদর, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (১৬) মেসার্স এম এস ব্রিকস, লাবসা (১৭) মেসার্স আর বি (রুপসা) ব্রিকস, রামচন্দ্রপুর ধুলিহার (১৮) মেসার্স রহমান ব্রিকস, বিনেরপোতা, সাতক্ষীরা (১৯) মেসার্স এস কে ব্রিকস, বাবুলিয়া, সদর (২০) মেসার্স এম আর ব্রিকস, রসুলপুর, সদর (২১) মেসার্স নিউ এম পি ব্রিকস, বিনেরপোতা খেজুরডাঙ্গা (২২) মেসার্স এম পি ব্রিকস, বিনেরপোতা, খেজুরডাঙ্গা (২৩) মেসার্স কামরান ব্রিকস, বিনেরপোতা, সাতক্ষীরা, ইট ভাটার আছে ইট পোড়ানো লাইসেন্স, নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র (২৪) মেসার্স বিনেরপোতা ব্রিকস, বিনেরপোতা, ইট ভাটার আছে ইট পোড়ানো লাইসেন্স নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র (২৫) মেসার্স পৃথা ব্রিকস, বিনেরপোতা ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র, নেই কোন ইট পোড়ানো লাইসেন্স, যদিও উল্লেখিত ইটভাটা লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন দেখানো হয়েছে (২৬) মেসার্স আলীপুর অটো ব্রিকস, আলীপুর, সাতক্ষীরা সদর, নামীয় ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ ১৩ ইট ভাটার মধ্যে শুধুমাত্র ৫ টি ইট ভাটায় আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র।
কালিগঞ্জ উপজেলার বৈধ এবং অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে (২৭) মেসার্স এম বি ব্রিকস, ভাড়াশিমলা, কালিগঞ্জ (২৮) মেসার্স শেখ ব্রিকস,বাজারগ্রাম, কালিগঞ্জ, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (২৯) মেসার্স সোনালী ব্রিকস, পিরোজপুর, কালিগঞ্জ (৩০) মেসার্স ময়না ব্রিকস, গাজী দূর্গাপুর, কালিগঞ্জ ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (৩১) মেসার্স ব্রাদার্স ব্রিকস, শীতলপুর, কালিগঞ্জ (৩২) মেসার্স একতা ব্রিকস, গবিন্দকাঠি, চম্পাফুল ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স কিন্তু লাইসেন্স প্রাপ্তির স্থান ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের স্থান ভিন্ন দেখানো হয়েছে (৩৩) মোস্তফা ব্রিকস -২, নাটুয়ার বেড় (৩৪) মেসার্স তাজিন ব্রিকস, উজিরপুর, চম্পাফুল ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র কিন্ত ইট পোড়ানো লাইসেন্স প্রাপ্তির স্থান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া পরিবেশগত ছাড়পত্রের স্থান ভিন্ন দেখানো হয়েছে (৩৫) মেসার্স এশিয়া ব্রিকস, মথুরেশপুর চিংড়া (৩৬) মেসার্স যমুনা অটো ব্রিকস, ফেকড়া, কুশলিয়া ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (৩৭) মেসার্স নাফিক ব্রিকস, উফসা, হোসেনপুর (৩৮) মামা ভাগ্নে ব্রিকস (এস বি ব্রিকস) ঘোড়াডাঙ্গা (৩৯) মেসার্স সোনালী ব্রিকস, বাজারগ্রাম, রহিমপুর। সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার ১২ ইট ভাটার মধ্যে বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা হলোঃ (৪০) মেসার্স আর এন ব্রিকস, কুল্লা, বুধহাটা ইট ভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে নেই ইট পোড়ানো লাইসেন্স (৪১) মেসার্স ইরামনি ব্রিকস, কুল্লা, বুধহাটা (৪২) মেসার্স কে বি ব্রিকস, গোয়ালডাঙ্গা, জামালনগর (৪৩) মেসার্স আল্লাহর দান ব্রিকস, মধ্যচাপড়া, আশাশুনি (৪৪) মেসার্স মিলন ব্রিকস, শ্রীকলস, আশাশুনি ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (৪৫) মেসার্স ফারজিন ব্রিকস, টেকা কাশিপুর, (৪৬) মেসার্স শাহীনুর ব্রিকস, শোকদানা, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই ইট পোড়ানো লাইসেন্স (৪৭) মেসার্স আখি ব্রিকস -২, বুধহাটা, আশাশুনি ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র কিন্ত লাইসেন্স প্রাপ্তির অবস্থান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্রের স্থান দেখানো হয়েছে ভিন্ন জায়গায়, বৈকারি সড়ক, ভাদড়া, কুশখালী (৪৮) মেসার্স হাজী ব্রিকস, কুল্লা, বুধহাটা, (৪৯) মেসার্স ইয়াসমিন ব্রিকস, আকসরা অনুলিয়া (৫০) মেসার্স এল এস ব্রিকস, বড়দল (৫১) মেসার্স কাদের ব্রিকস, বড়দল, আশাশুনি। সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার অবস্থানরত ৭ টি ইট ভাটার মধ্যে বৈধ ও অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে আছে, (৫২) মেসার্স এ বি আই ব্রিকস, ইসমাইলপুর, শ্যামনগর ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র কিন্ত অবস্থানগত দিক থেকে লাইসেন্স প্রাপ্তির স্থান ভিন্ন জায়গায় (৫৩) মেসার্স জামান ট্রেডিং ব্রিকস, বড়কুপোট, নওয়াবেঁকী (৫৪) মেসার্স গাজী ব্রিকস, হাটছালা, ভুরুলিয়া ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র কিন্ত অবস্থানগত দিক থেকে লাইসেন্স প্রাপ্তির স্থান ভিন্ন জায়গায় (৫৫) মেসার্স এ বি ব্রিকস, ইসমাইলপুর, শ্যামনগর, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই ইট পোড়ানো লাইসেন্স (৫৬) মেসার্স এ বি ব্রিকস, চন্ডিপুর, শ্যামনগর, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই ইট পোড়ানো লাইসেন্স (৫৭) মেসার্স আশা ব্রিকস, বংশীপুর, শ্যামনগর, ইট ভাটার আছে ইট পোড়ানো লাইসেন্স নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র (৫৮) মেসার্স সুন্দরবন ব্রিকস, খানপুর, শ্যামনগর ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার ০৯ ইট ভাটার মধ্যে বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা হলোঃ (৫৯) মেসার্স জাহিদ ব্রিকস, কুলিয়া, দেবহাটা (৬০) মেসার্স রুপা ব্রিকস, হাদিপুর, দেবহাটা (৬১) মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস, পুস্পকাটি, কুলিয়া ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (৬২) মেসার্স ইসলামিয়া ব্রিকস, সখিপুর (৬৩) মেসার্স এম আর ব্রিকস, হাদীপুর, (৬৪) মেসার্স আতিয়ার ব্রিকস, কুলিয়া (৬৫) মেসার্স সখিনা ব্রিকস, দক্ষিণ পারুলিয়া (৬৬) মেসার্স রাফসান ব্রিকস, দক্ষিণ পারুলিয়া, দেবহাটা, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (৬৭)মেসার্স রুমানা ব্রিকস, কুলিয়া দেবহাটা। সাতক্ষীরা তালায় ইট ভাটার সংখ্যা হচ্ছে -১৩। তালা উপজেলার বৈধ ও অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে আছে (৬৮) মেসার্স গোল্ডেন ব্রিকস, গোনালী, তালা (৬৯) মেসার্স আর বি এস ব্রিকস, গোলালী (৭০) মেসার্স নুর ব্রিকস (এম এন বি), কুমিরা সরস্বতীঘাট (৭১) মেসার্স রাণী ব্রিকস, ইসলামকাটি (৭২) মেসার্স মুন ব্রিকস, জেঠুয়া, তালা (৭৩) মেসার্স বিসমিল্লাহ জেঠুয়া ব্রিকস, জেঠুয়া, তালা (৭৪) মেসার্স এ এইচ ব্রিকস, দাদপুর, তালা (৭৫) মেসার্স এন বি ব্রিকস, দাদপুর (৭৬) নিউ এস বি ব্রিকস, দাদপুর (৭৭) এস বি ব্রিকস, খেরসা, তালা ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই ইট পোড়ানো লাইসেন্স যদিও লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন দেখানো হয়েছে। (৭৮) এস এম এম ব্রিকস, খেরসা, তালা, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই ইট পোড়ানো লাইসেন্স যদিও লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন দেখানো হয়েছে। (৭৯) মোল্লা ব্রিকস, পার-কুমিরা, তালা, ইট ভাটার আছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স (৮০) মেসার্স ফারহা ব্রিকস, আচিমতলা, পাটকেলঘাটা, তালা, ভাটার আছে ইট পোড়ানো লাইসেন্স নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র। সাতক্ষীরা কলারোয়া ইট ভাটার সংখ্যা হচ্ছে ১৬, নেই কোন পরিবেশগত ছাড়পত্র। কলারোয়া উপজেলার অবৈধ ইট ভাটা হলোঃ (৮১) মেসার্স এন বি ব্রিকস, গনপতিপুর, দমদম, কলারোয়া (৮২) মেসার্স কাজীরহাট ব্রিকস, কাজীরহাট (৮৩) মেসার্স হেলাতলা ব্রিকস, হেলাতলা (৮৪) মেসার্স এস আর ব্রিকস, হেলাতলা (৮৫) মেসার্স আলী ব্রিকস, হেলাতলা (৮৬) মেসার্স হোসেন ব্রিকস -২, সোনাবাড়ীয়া, (৮৭) মেসার্স দমদম ব্রিকস, দামোদরকাটি (৮৮) মেসার্স রয়েল ব্রিকস, ইলিশপুর (৮৯) ভাই ভাই ব্রিকস, পাঁচনল, হামিদপুর (৯০) মেসার্স সরদার ব্রিকস, নারায়ণপুর (৯১) মেসার্স রাণী ব্রিকস, আলাইপুর (৯২) মেসার্স গাজী ব্রিকস, বাটরা (৯৩) মেসার্স পারুল ব্রিকস, চিতলা (৯৪) মেসার্স নার্গিস ব্রিকস, চন্দনপুরা (৯৫) মেসার্স মিতা ব্রিকস, সলিমপুর (৯৬) মেসার্স এশিয়া ব্রিকস, তুলসীডাঙ্গা, কলারোয়া। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকটি ইট পোড়ানো লাইসেন্স প্রাপ্ত ইট ভাটার নামের সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নাম এবং অবস্থান অমিল রয়েছে। সে সকল ইট ভাটা হলোঃ মেসার্স সাকিব ব্রিকস, ইছাকুর,শ্যামনগর, এ কে ব্রিকস মাছখোলা, সাতক্ষীরা, সদর, মেসার্স হক ব্রিকস, মাহামুদপুর, শ্যামনগর, মেসার্স এবি ব্রিকস, কাশেমপুর, সাতক্ষীরা, সদর, মেসার্স নিউ আলিপুর ব্রিকস, দক্ষিণ আলিপুর, সাতক্ষীরা। মেসার্স হাজী ব্রিকস, ইছাকুর,শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, মেসার্স এস বি ব্রিকস, বিনেরপোতা, সাতক্ষীরা, সদর, মেসার্স সুপার ব্রিকস বাকখালী, নগরঘাটা, সাতক্ষীরা, মেসার্স এস, এ ব্রিকস, গুনাকরকাটি, আশাশুনি, মেসার্স নিউ,এম, বি ব্রিকস, দাদপুর, কালিগঞ্জ, মেসার্স গাজী ব্রিকস, হরিনা, শোমনালী, আশাশুনি, মেসার্স মোল্যা ব্রিকস, হরিনা, গোয়ালচত্তর, কলারোয়া, মেসার্স হোসেন ব্রিকস, সেহারা, নলতা, কালিগঞ্জ, মেসার্স রাকিন জিগজ্যাগ ব্রিকস, হাওলখালী, বাশদহা,সাতক্ষীরা, মেসার্স এন, এন বি ব্রিকস, সেনপুর, তালা, সাতক্ষীরা।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এর ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ.ন.ম. গাউছার রেজা বলেন, ইট ভাটার জ্বালানিতে অতিমাত্রায় কাঠের ব্যাবহারের কারণে যে উপজাতটা তৈরি হয় সেটা হচ্ছে কার্বন। কার্বন থাকে বলেই এর ধোয়াটা কালো হয়। যে জ্বালানি দহনের ফলে যত বেশি কালো ধোঁয়া উৎপাদন হবে তার অর্থ হচ্ছে ঐ জ্বালানিতে অনেক বেশি পরিমাণ কার্বন আছে। এই কার্বন যখন বায়ু মন্ডলে যুক্ত হয় তখন বায়ুতে যে অক্সিজেন থাকে সেই অক্সিজেনের সাথে কার্বনের বিক্রিয়ার ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড এই ধরনের জৈব মিশ্রিত গ্যাস উৎপন্ন করে। যে গ্যাস গুলোতে কার্বন যুক্ত থাকে কার্বন সালফার, নাইট্রোজেন থাকে সেগুলোকে গ্রীনহাউজ গ্যাস বলে। গ্রীনহাউজ গ্যাস যত বেশি অতিমাত্রায় নির্গত হবে তত বেশি ক্ষতি সাধিত হবে। উদাহরণ হিসেবে ১ ঘন্টার সুর্যের তাপ পেলে ঠান্ডা হতে সময় লাগে ৬/৭ ঘন্টা। বায়ুমন্ডল ঠান্ডা হওয়ার আগে আবার উত্তপ্ত হয়ে যায়। বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রার কারনে দুই রকম ক্ষতি হয়ে থাকে। একটা হচ্ছে পরিবেশগত অসুবিধা আর একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যগত সমস্যা। গ্রীনহাউজে ক্ষতিকর প্রভাবের কারনে জলবায়ু পরিবর্তন হয়। বায়ুমন্ডলে যখন কার্বন ডাই-অক্সাইড, মনো অক্সাইড ভেসে বেড়ায় তখন যে বৃষ্টি হয় তা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সার, হাপানী, শ্বাস কষ্ট, ফুসফুস সহ অন্যান্য রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া অতিমাত্রায় পরিবেশ দূষণ হয়। সে কারণে কাঠের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে আমাদের অন্য কিছু আবিষ্কার করতে হবে। আমাদের এখনি ইটভাটার জ্বালানিতে কাঠ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ বিষয় সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মুঠো ফোনে আলাপকালে বলেন, যে সমস্ত ইটভাটার জ্বালানিতে কাঠ ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত ইট ভাটার লাইসেন্স নেই সে সমস্ত অবৈধ ইট ভাটা ভেঙ্গে দেওয়া হবে।