Daily News BD Online

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতার জোড়া খুন, কাশেম জেহাদিকে আসামি করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা


নিজাম উদ্দিন খান,
স্টাফ  রিপোর্টারঃ

আবদুল্যাহ আল নোমান লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাকিব ইমাম লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় রাকিব ইমাম নামে আরও এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত  হয়েছে  জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দাবাজার নাগের হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে ৯ তারিখে একি ভাবে ৭নং বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন হত্যা করা হয়।

দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইকতার বলেন, পোদ্দার বাজার-নাগেরহাট সড়কে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হসপিটালের পাঠানো হয়েছে।

নোমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, নোমানের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

এদিকে নোমানের মৃত্যুর খবর শুনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ, সৈয়দ আহম্মেদ পাটোয়ারী, যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক, মাসুম মোল্লা ও তফসির আহমেদ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।

নিহত নোমান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ভাই। তিনি প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক।

জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা এ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। এদিকে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এই হত্যাকাণ্ড ঘটার পর থেকেই সরাসরি ভাবে  সাবেক চেয়ারম্যান কাশেম জিহাদীকে দোষারোপ করে চলেছেন। তিনি  বলেন এই কাসেম জেহাদী প্রকাশ্যে গত ইউপি নির্বাচনের সময়  আমার ভাইয়ের পায়ে  গুলি করেন। আমাদের   বশিকপুর ইউনিয়ে আর কোন শত্রু নেই  এই  কাশেম জেহাদী  আমার ভাইকে হত্যা করেছেন।ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা-একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২৬ শে এপ্রিল  সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তাদের মরদেহ স্ব স্ব পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।নিহত নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। এ মামলায় কাশেম জেহাদীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কাশেম জেহাদী  বর্তমানে দেশের বাহিরে  রয়েছেন বলে জানা গেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন