Daily News BD Online

ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মেলা


আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :

দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘বুড়া চিন্তামন’ ঘোড়ার মেলা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত দু’শতাধিক ঘোড়া নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছর প্রশাসন মেলা ভেঙে দেওয়ায় এ বছর অনেক ব্যবসায়ী আসেনি এ মেলায়। এতে ঘোড়ার ক্রেতাও এ বছর কম দেখা যাচ্ছে।

মেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের মেলাবাড়ী এলাকায় বসেছে গ্রামীণ মেলা। নাগর দোলা, গ্রামীণ বিভিন্ন খাবার দোকান ও খেলাধুলার আয়োজনসহ ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে মেলায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ব্যাপক সমাগম ঘটছে।

জানা যায়, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১০ তারিখ থেকে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের মেলাবাড়ী মাঠে ১৫ দিনব্যাপী এই ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মেলা বসে। মেলায় মূলত ঘোড়া বেচাকেনার কারণে এটি ‌‌‌‌ঘোড়ার মেলা নামেই দেশব্যাপী পরিচিত।

ঘোড়া ব্যবসায়ী মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৪টি ঘোড়া নিয়ে মেলায় এসেছেন। একটি ঘোড়ার দাম রেখেছেন ৭০ হাজার, অন্যটির দাম ৫০ হাজার এবং ছোট দু’টির দাম ৩০ হাজার। গত বছর শুরুর কয়েকদিন পর প্রশাসন মেলা ভেঙে দেওয়ায় এ বছর অনেক ব্যবসায়ী সেই আতঙ্কে আসেনি বলেই ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে।

রংপুর থেকে আসা ঘোড়া ব্যবসায়ী আব্দুল গোফফার বলেন, মেলায় ৩টি ঘোড়া নিয়ে এসেছেন।শেষ পর্যন্ত থাকবেন বিক্রির আশা নিয়ে।

আলাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দছিম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়ার মেলা দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিত। ঘোড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এই মেলা সম্পর্কে জানেন। এ কারণে প্রতিবছর মেলা শুরুর আগেই ঘোড়া ব্যবসায়ীরা চলে আসেন। মেলাকে কেন্দ্র করে হরেক রকম দোকানপাট বসে। বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগর দোলা আসে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেলা আয়োজক কমিটির প্রধান নাজমুস সাকির বাবলু বলেন, মেলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এলাকাবাসী অনেক পরিশ্রম করে থাকেন। এ বছর সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে মেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

ফুলবাড়ী থানার ওসি মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ঘোড়া ব্যবসায়ীরা এসেছেন ঘোড়া বিক্রি করার জন্য। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নজর রাখছে।  

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তাকে মেলার সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেলার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন