সঞ্জয় সাহা, গাইবান্ধা থেকে : বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধায় উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। বাবা, মা, ভাই, বোন, শ্বশুর শ্বাশুড়ি ও পরিবার সহ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে রাজধানী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, রংপুর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থানে এসেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ দিন ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে নির্বিঘ্নে ফিরতে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার ফিরছেন তারা। তাই সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রার ফিরতি রেল সার্ভিস। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের তেমন হয়রানি হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি।
২৫ এপ্রিল রোববার দুপুরে গাইবান্ধা রেল স্টেশনে কর্মস্থল ও নিজ ঘর ফেরত কর্মজীবীদের ভিড় দেখা গেছে। গাইবান্ধা থেকে রাজধানী ঢাকা সহ দক্ষিন ও উত্তরাঞ্চলের ফিরছেন অনেক মানুষ।
ঈদুল ফিতরের চতুর্থ দিন আজ।
ট্রেন ও বাসে করে ইট-পাথরের নগরীতে ফিরছে সবাই। এর আগে দীর্ঘ ছুটি পাওয়ায় ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়ে সবাই। এ কারণে ব্যস্ত নগরীও গিয়েছিল বিশ্রামে, পেয়েছিল একটুকরো অবসর। ছুটি শেষে সবাই ফিরতে শুরু করায় আবারও কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন সবাই, নগর ফিরে পাবে তার চিরচেনা রূপ। সড়কে ভোগান্তি এড়াতে এবার ট্রেনে চাপ বেড়েছে। তবে টিকিট পেতে সবাইকেই বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার গাইবান্ধা রেলস্টেশনে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে যেসব ট্রেন এসেছে, প্রতিটিতেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতরে ছিল যাত্রী ঠাসা।
এদিকে বহু চেষ্টায় ট্রেনের আসনের টিকিট না পেলেও ষ্টান টিকিট পাওয়ায় ট্রেনে দাঁড়িয়ে থেকে ঢাকায় আসতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেক যাত্রীদের।
ঢাকামুখী ট্রেনযাত্রী মোছা: মাহমুদা ফাহমিদা এই প্রতিবেদক কে বলেন- তিনি তার হাজিবেন্ট সহ ঢাকায় থাকেন। তার বাসা গাইবান্ধার পুলিশ লাইন এলাকায়। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন অনেক সুন্দর পালন করলাম। সড়কপথে বাসযোগে অনেক জ্যাম থাকে। তাই তাছাড়া ট্রেন ভ্রমণ অনেক মজাদার।
"আসাদ আল আমিন" নামে এক ট্রেন যাত্রী বলেন- আমার বাসা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুরে। আমি টাঙ্গাইলে একটি এনজিওতে জব করি। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে এসেছিলাম। আগামীকাল থেকে অফিস শুরু। ঈদ যাত্রা সবসময় ভোগান্তি হয়। এবার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় ভোগান্তি কম হয়েছে। তারপরও কিছুটা ভোগান্তি থেকেই থাকে৷ ঈদের আনন্দে ঘরে ফেরার ক্ষেত্রে সেটা তেমন কিছুনা। ট্রেন যাত্রা আনন্দদায়ক। তাই ট্রেনে ফিরছি।
" আবু সালেহ সাব্বির" নামে এক শিক্ষার্থী জানান- তার বাসা বগুড়া। তিনি রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টার্স এর ছাত্র। দেড় বছর পর গাইবান্ধার দাড়িয়াপুরে নানির বাসায় এসেছিলেন ঈদ উদযাপন করতে। ঈদ উদযাপন শেষে গন্তব্যস্থলে ফিরছে।
গাইবান্ধা ষ্টেশন মাষ্টার, 'আবুল কাশেম' এর কাছে ট্রেন সেবার সার্বিক বিষয় জানতে চেলে তিনি মুখ খুলতে রাজি হন নি।
Tags
বাংলাদেশ