Daily News BD Online

নিকলীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার, ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি


মোঃ হাবিব মিয়া, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) :


কিশোরগঞ্জ নিকলীত জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মহামারি করোনার প্রকোপে গত কয়েক বছর ঈদের বাজার চাঙ্গা না থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে দুপুরের পর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে পণ্যসামগ্রীর দাম আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।

নিকলী উপজেলা বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের শুরুর পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকলেও বর্তমানে তা বেড়েছে। নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড়, জুতা নিতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে দাম বেশি হওয়ায় একাধিকবার মার্কেটে এসেও নিজের পছন্দের শপিং করতে পারেননি অনেকে। তারপরও নিজের পছন্দের পণ্য ঈদের আগে কিনবেন বলে জানান ক্রেতারা।
বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।

নিকলী পুরান বাজারের ব্যবসায়ী শিপন মিয়া বলেন, ‘সাধারণত শবে বরাতের পর থেকেই আমাদের ঈদের বিক্রি শুরু হয়। তবে এ বছর একটু দেরিতেই শুরু হয়েছে। প্রথম কয়েকদিন অনেক ক্রেতা শুধু জামাকাপড় দেখেন এবং দাম শোনেন। সাধারণ সময়ে আমার দোকানে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়। রোজার শুরু থেকে এখন প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে।’

একই মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন, ‘করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসানে ছিলাম। এবার করোনার প্রকোপ নেই। কাস্টমাররাও স্বাচ্ছন্দ্যে মার্কেটে আসছেন। আশা করি, করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।’
একই মার্কেটে কথা হয় কোহিনুর বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘১০ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি শপিং করতে। দুই মেয়ের আর আমার জামা কেনাতেই সব টাকা শেষ। আজ জুতা কিনতে পারিনি। পরে আবার এসে জুতা কিনবো।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন