মোঃ ফাহিম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে দুই বছর আগে রাস্তা পাকা করনের কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি । অর্ধেক কাজ করে রেখে দেয়ার ফলে চলাচলে ব্যাপক সমস্যার কথা জানিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী । জানা যায়, উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার ঠুটাপাড়া সমীর মোড় থেকে শুরু করে মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজ শুরু হয়েছিল গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ।
প্রায় দেড় কোটি টাকা বাজেটের এই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে ইটের খোয়া দেয়ার পরে হঠাত অজ্ঞাত কারনে তা বন্ধ হয়ে যায় । দেড় কিলোমিটার রাস্তার উপর ইটের খোয়া দিয়ে রেখে দেয়ার ফলে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যার কথা জানিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্পেটিং এর কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ জানান এলাকাবাসী । সরেজমিনে গেলে স্থানীয় মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড সদস্য মো: সমীর উদ্দীন সহ মো: জোহরুল ইসলাম, মো: জালাল উদ্দীন, আওয়ামীলীগ নেতা মো: আলাউদ্দিন, শিক্ষক মো: মঞ্জুর রহমান, মো: মতিউর রহমান ও মো: সাইফুল্লাহ জানান, গত ২০২১ সালে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে মাননীয় এমপি মহোদয় এসে উদ্বোধন করে গেছেন এই রাস্তার কাজ ।
তারপর বালি ও খোয়া দিয়েই রেখে দেয়া হয়েছে । এখন পর্যন্ত আর কোন কাজ না হওয়ায় রাস্তাটি কাঁচা রাস্তার চেয়েও খারাপ অবস্থায় রয়েছে । এতে যানবাহন চলাচলে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । অনেক জায়গায় রাস্তার পাড় ভেঙ্গে পড়েছে । তদুপরি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় ইটের খোয়াগুলোর মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ।অত্র কাজের ঠিকাদার মো: বাদল আলী বলেন, যেটুকু কাজ করেছি সেটুকুর বিল ঠিক মতো না পাওয়ায় আমি আর কাজ করতে পারিনি।
তবে বিল না পাওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করে এলজিইডির শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো: হারুন অর রশিদ বলেন, মাঝে মধ্যে বিল পেতে কিছুটা দেরি হতেই পারে, সেজন্য একটা কাজ হাতে নিয়ে মাঝপথে এসে ছেড়ে দিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা ঠিক হয় নি । আমরা ঠিকাদারকে একাধিকবার মৌখিক ও পত্রযোগে কাজটি শেষ করার জন্য বললেও তিনি তা করছেননা ।
এখন আমরা বাধ্য হয়ে সেই টেন্ডারটি বাতিল করে পুন:রায় টেন্ডার করে বাকি কাজটুকু শেষ করার প্রক্রিয়ার দিকেই যাচ্ছি । এসময় একটি কাজের দায়িত্ব নিয়ে এমন দায়িত্বহীনতার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান প্রকৌশলী মো: হারুন অর রশিদ ।