Daily News BD Online

শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী জামালপুর র‍্যাব-১৪ কর্তৃক গ্রেফতার


জামালপুর জেলা প্রতিনিধি :

শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন চা ল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলায় ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প।

১।বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রান্তিলগ্নে “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‍্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। বিভিন্ন ধরনের চা ল্যকর অপরাধের স্বরূপ উৎঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র‍্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, মানব-পাচার, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে; যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

ভিকটিম শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়–য়া নাবালিকা। বিবাদী মোঃ আল-আমিন (৩২), পিতা-মৃত কলিম উদ্দিন @ খোকা, সাং- নয়াবাড়ী, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর ও ভিকটিম পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা। ইং ১৮-০৩-২০১০ তারিখে ভিকটিম স্কুল ছুটির পর স্কুল হতে বাড়ী ফেরার পথে অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ে হতে ২০০ গজ পূর্বে পঁাকা রাস্তার কালভার্টের নিকট পৌছানো মাত্রই কালভার্ট সংলগ্ন আড়া ছনের আড়ালে শুকনা ড্রেনে নিয়ে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা বিবাদী ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরিয়া জোড়পূর্বক ধষর্ণ করে অতঃপর বিবাদী দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের পর ভিকটিম কঁাদিতে কঁাদিতে বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের নিকট উক্ত ঘটনা জানায়। তখন ভিকটিমের মা ভিকটিমের হাফ প্যান্ট খুলিয়া ক্ষত ও রক্তাক্ত যৌনাঙ্গ দেখতে পান এবং অন্যান্য সাক্ষীদের দেখান। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ আবু সাঈদ (৫৫), পিতা-মৃত সোলাইমান ইসলাম, সাং-নয়াবাড়ী, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর, থানায় হাজির হইয়া বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে অফিসার-ইন-চার্জ, নকলা থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-১৮/০৩/২০১০ ইং, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জনাব মোঃ আখতারুজ্জামান, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর মহোদয় গত ১৮/০৩/২০২০ ইং আসামী মোঃ আল-আমিন (৩২) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ আল-আমিন ১৩ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি অভিযানিক দল ইং ২৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখ দিবাগত রাত নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরপা এলাকা হতে আসামী মোঃ আল-আমিন (৩২)’কে তার আত্মীয়ের বাসা হতে আটক করে। ধৃত আসামীকে সূত্রোক্ত মামলায় শেরপুর জেলায় নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন