Daily News BD Online

মানবিক আবেদন : গার্মেন্টস শ্রমিক লিমনের পা বাঁচাতে এগিয়ে আসুন


আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :

মাসখানেই আগে স্বাভাবিক জীবনযাপন ছিল মো. লিমনের (২৬)। অভাবের টানপোড়াতেও স্ত্রী ও কন্যা সন্তানের সাথে কাটছিল সংসারিক জীবন। একটি দুর্ঘটনা থামিয়ে দিল জীবনের গতিপথ। স্বাভাবিক দিনগুলো হারিয়ে এখন লিমন হাসপাতালের বিছানায়। কাটা হয়েছে ডান পা। বাম পায়েরও অবস্থা খুবই নাজুক। শিঘ্রই অপারেশন না হলে তাও হারাতে হবে লিমনকে।
কলিমন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের সুলতানপুর গুচ্ছগ্রাম আবাসনের বাসিন্দা একরামুল হকের ছেলে। সে ছিল গার্মেন্টস শ্রমিক। বাড়িতে রয়েছে বাবা-মা, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ একটি চারবছরের কন্যা সন্তান।
জানা যায়, গত রমজানে লিমন গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ফুলবাড়ী পৌরবাজারের রাজ মার্কেটের স্বপ্নচূড়া ফ্যাশানে। ঈদের ছুটিতে বেতন-বোনাস নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায় সে। পরে ঈদের পর ফুলবাড়ী-রংপুর সড়কের যাত্রীবাহী বাসের হেলপারি শুরু করেন লিমন। ইতোপূর্বে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তার একটি হাতের আঙ্গুল ঠিকভাবে কাজ করতো না। ফলে সে কোনো কিছু ঠিকভাবে আঁকড়ে ধরতে পারত না। বাসে হেলপারি করার সময় চলন্তবাসে উঠতে গিয়ে পড়ে যায় লিমন। পরে সেই বাসটির পেছনের চাকা তার পায়ের ওপর দিয়ে যায়। এতে থেঁতলে যায় তার দুই পা। একইসাথে গুরুত্বর আঘাত পায় কিডনীতে। পরে তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে ভর্তি করানো হলে তার ডান পা কেটে ফেলেন চিকিৎসক। বর্তমানে বাম পায়েরও অবস্থা খুবই খারাপ। অপারেশন করা না হলে সেটিও কেটে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মো. লিমনের বাবা একরামুল হক বলেন, আমি গুচ্ছগ্রাম আবাসনের মানুষ। আমরা দিনমজুর দিন আনি দিন খাই। ইতোপূর্বেও আমার ছেলে লিমন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু আবারো সে দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছে। বর্তমানে লিমন দিনাজপুর এম. আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধিন আছে। তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। ডাক্তার বলেছে অপারেশন না করা হলে অপর পা টিও কাটতে হবে। অপারেশন করতে প্রায় তিন লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমার পক্ষে কোনোভাবেই তা বহণ করা সম্ভব নয়। নিজের জমিজমাও নাই যে বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাবো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে ছেলের জন্য সহযোগিতা চাচ্ছি। আর্থিক সহযোগিতা বা তার চিকিৎসার ভার নিলে আমার ছেলে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। বর্তমানে তার স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ও একটি চার বছরের কন্যা শিশু আছে লিমনের।
রোগির সাথে কথা বলতে যোগাযোগের ঠিকানা: ০১৮৬৪-০৬২০৫৮। সহযোগিতা পাঠাতে: বিকাশ-০১৭৬১-৭১২৪১৩ (রোগীর ভাই সোহেল রানা), ব্যাংক হিসাব: ০১০০১২৭২৮১৫৯৩ (সঞ্চয়ী), হিসাব নাম: সোহেল রানা, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, ফুলবাড়ী বাজার শাখা, দিনাজপুর। ##

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন