সঞ্জয় সাহা, গাইবান্ধা:
দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন, অন্যায় এর বিরুদ্ধে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশে কাজ করছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। প্রতিটি শিশুর জীবন ভরে উঠুক পরিপূর্ণতায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়নই তাদের লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় শিশুদের সার্বিক কল্যান সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে গাইবান্ধায় কাজ করতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা "ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ"।
এ উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী গাইবান্ধা শহরের সুন্দরজাহান মোড়স্থ ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ ( এপি) কার্যালয়ে গাইবান্ধার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
প্রতিষ্ঠানটির গাইবান্ধা শাখার এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার উত্তম দাস এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনি মিলড্রেড ডি ক্রুজ,কমিউনিকেশনস ম্যানেজার ঢাকার (মিডিয়া রিলেশনস) দেবাশিষ রঞ্জন সরকার, কমিউনিকেশন কো অর্ডিনেটর অবনী আলবার্ট, গাইবান্ধা এরিয়া প্রোগ্রাম অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার আলবার্ট সরকার, জোসেপ মার্ডি, কাচারিবাজারস্থ গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কে,এম রেজাউল হক, সাংবাদিক সরকার মো. শহীদুজ্জামান,গৌতমাশিস গুহ সরকার, দীপক কুমার পাল, রিক্তু প্রসাদ, জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ, জাভেদ হোসেন, খালেদ হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১৯জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়- ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ বাংলাদেশের ৩০ টি জেলায় কাজ করে আসছে। ৭৮টি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্প ও ৬৪ টি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্প রয়েছে। প্রকল্পের মধ্যে গাইবান্ধা সদরের ঘাঘোয়া, গিদারী ও খোলাহাটি ইউনিয়ন এর ২৪ টি গ্রাম এবং গাইবান্ধা পৌরসভার ৫,৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ২ হাজার ২৮৯ শিশুকে নিয়ে কাজ করবে ওয়ার্ল্ড ভিশন। গাইবান্ধায় ১২ হাজার ২শ ৮৯ জন হতদরিদ্র রয়েছে। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত শিশু রয়েছে ২০২৯ জন। এর মধ্যে ৮৮৭ জন পুরুষ ও ১১৪২ জন বালিকা রয়েছে। শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে কাজ করার জন্য ৩৪ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সে সাথে প্রতিবন্ধীদের নিয়েও তারা কাজ করছে। ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধীদের তারা হুইল চেয়ার বিতরণ ও চিকিৎসার জন্য বাহিরে পাঠিয়েছেন। ৯৩ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে বালক ৫৬জন ও বালিকা রয়েছে ৩৭জন। ওয়াল্ড ভিশন অষ্টেলিয়ার অর্ধায়নে আগামী দশ বছর ধরে তারা কার্যক্রম চালাবে।
উল্লেখ্য, ওয়াল্ড ভিশন একটি আন্তর্জাতিক খৃষ্টান, মানবিক উন্নয়ন সংস্থা। যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে একটি বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। ১৯৫০ সালে ড. রব পিয়ার্সের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটি আত্নপ্রকাশ করে। আজ তা বিশ্বের কোটি কোটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুর ভাগ্যোউন্নয়নে কাজ করে চলেছে। ১৯৭০ সালে দক্ষিনাঞ্চলে জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে জরুরি ত্রান সামগ্রী বিতরণ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ওয়াল্ড ভিশন যাত্রা শুরু হয়।