মোঃ হানিফ মিয়া, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) :
ঝগড়াঝাটি, মারামারি, মামলা মকদ্দমা এমনকি, খুনখারাপির মতো জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হতে পারে জায়গা জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে। মালিকানা দ্বন্দেই এসব ঘটনা ঘটে। জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত মালিক নির্ধারন করা সম্ভব বলে মনে করেন সবাই। তবে এ কাজে থাকতে হয় শতভাগ নিরপেক্ষতা। তা নাহলেই থেকে যায় সমস্যা। যেমনটা রয়ে গেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়।
দিয়ারা জরিপে এইসব সমস্যার সৃষ্টি করেছেন বলে জানা গেছে। এক শ্রেণীর দালাল চক্রের মাধ্যমে জরিপ কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে অন্যের জমি রেকর্ড নিয়ে ওই জমি দখল করা শুরু করেছে ভুমিখেকোরা। এতে এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মামলার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সংশোধনী বসিয়ে যার জমি তার নামে ফিরিয়ে দেয়ার দাবী করছেন মালিকরা।
উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বাসিন্দা মৃত্যু আতাহার হাওলাদারের ছলে মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন , আমার বাপের দলিল কৃত ভোগ দখলীয় জমি পার্শ্ববর্তী আবদুর রব ও রহিম মাতব্বর গংরা রেকর্ড নিয়ে ওই জমি জোর করে দখল করে বিক্রি করতে চায়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংঘর্ষে লিপ্ত হই নি । তবে রেকর্ড সংশোধনী মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা সদর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে চর কানকনী মৌজার জহির মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, তাদের জমি পার্শ্ববর্তী জব্বার মোল্লা, ইয়াকুব মোল্লা গংরা রেকর্ড নিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে এলে তারা বাধা দেয়। এতে জব্বার মোল্লা গংরা জহিরকে পিটিয়ে আহত করে। আহত জহির বাদী হয়ে গলাচিপা জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে অবশ্য স্থানীয়রা সালিশ বৈঠক বসিয়ে ঘটনাটি মিমাংসা করে দেন। এ বিষয়ে আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলাও করেছেন বলে জহির জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, একজনের জমি আরেকজনের নামে রেকর্ড নিয়ে গেছে, এরকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে রাঙ্গাবালীর প্রতেকটি ইউনিয়নে । মামলায় কেটে যায় বছরের পর বছর। স্থানীয়ভাবে সমাধান করলে উপকৃত হবে ভুক্তভোগীরা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ সালেক মুহিত বলেন, রাঙ্গাবালীতে এরকম অনেক ঘটনা রয়েছে। আমার এখতিয়ারে যা আছে আমি তা সংশোধন করার চেষ্টা করবো। বাকিটা আদালতের এখতিয়ার। আদালত ওইসব রেকর্ডের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন।
Tags
বাংলাদেশ