Daily News BD Online

ডেমরায় বাল্কহেড ড্রেজারে সন্ত্রাসী হামলা পাইপ ভাঙচুর


সোহেল আহমেদ :


রাজধানীর ডেমরায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বাল্কহেড ড্রেজারে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কর্মচারীকে হত্যা চেষ্টা ও পাইপ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাল্কহেড ড্রেজারের মালিক আনিসুর রহমান ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার  অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আকবর হোসেন রিপন(৪৬) পিতা-ছাদেক আলী মাতব্বর,সাং-৭৪/১ মাদারটেক (চৌরাস্তা) থানা সবুজবাগ,ঢাকা। রাজ্জাক হোসেন (৪৬) পিতা-মোশারফ,সাং-ভাইগদিয়া মাতব্বর বাড়ি, ওমর ফারুক (৩৮) পিতা-আকবর আলী মেম্বার,সাং- নন্দীপাড়া ব্যাংক কলোনি, মোশাররফ হোসেন (৫৫) পিতা-মৃত রুফ মিয়া সহ অঞ্জাত আরো ১০/১২ জন।

ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান (পিপিএম) ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান দৈনিক সকালের সময়কে জানান, মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে আমার বালু ভরাটের টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল, পাওনা টাকা চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে উল্টা-পাল্টা কথা বলতে থাকে,এর জের ধরে গত ২১ মে রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ডেমরা থানা এলাকার আমুলিয়াস্থ নুন্না ভিটা খেলার মাঠে বালুভরাটের সময়  আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, আমি নিষেধ করলে তারা সকলে মিলে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের ৪টি রাবারের পাইপ কেটে আনুমানিক তিনলক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে গত ২৪ মে সকাল সাড়ে পাঁচটায় ডেমরা থানা এলাকার মেন্দিপুরস্থ ম্যাক্সিম গ্রুপের প্রধান ইয়ার্ডের দক্ষিণ পাশে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের কাজ করাকালীন সময়ে ১,২,৩,৪ নং বিবাদী ও তাদের সহযোগী ১০/১২জন অঞ্জাত লোক এসে ১৬ টি লোহার পাইপ ভাঙচুর করে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে।এ সময় ১ নং বিবাদী আকবর হোসেন রিপনের হাতে থাকা ধারালো রাম-দা দিয়ে আমার বাল্কহেড ড্রেজারের ষ্টাফ মিজান(৩৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে সে সরে যায় এতে রাম-দায়ের আঘাত লেগে তার পিঠে জখম হয়।২ নং বিবাদী রাজ্জাক হোসেন ষ্টাফ মিজান এর প্যান্টের ডান পকেটে  থাকা মেশিনের তেল খরচের ৭৩০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ সময় তারা মিজান কে এলো পাতারিভাবে মারপিট করে নীলাফুলা জখম করে। তার ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তিনি আরো জানান,অভিযুক্ত আকবর হোসেন রিপন সবুজবাগ থানার এজাহারভুক্ত মামলার আসামি সে গত ২০১৮ সালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করে জামিনে মুক্ত হয়।


এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর  রহমান (পিপিএম) বলেন,এ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন