এ.বি.এম.হাবিব :
নওগাঁয় এক বীরমুক্তি যোদ্ধার পায়ের পরামর্শ ডাক্তারের কাছে নিতে গেলে, তাদেরকে কিছু না জানিয়ে, পা প্লাস্টার করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ও তার ছেলে অভিযোগটি করেন।
নওগাঁ সদর উপজেলার স্টেডিয়াম পাড়ার ভুক্তভোগীর ছেলে আরমান হোসেন জানান, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে, পড়ে গিয়ে ডান পায়ের কুনই অঙ্গুলটিতে আঘাত পায়। পরবর্তীতে এক্সরে করে জানতে পারে আঙ্গুলটি ভেঙ্গে গেছে।
গত (৭ ফেব্রুয়ারী) ডাক্তার শাহাদত হোসেন সেলিম এর কাছে ৬০০/ (ছয়শত) টাকা ভিজিট দিয়ে পরামর্শ নিতে গেলে,তাদেরকে কিছুই না জানিয়ে পা প্লাস্টার করে দেয় এবং তাদের কাছ থেকে প্লাস্টার বাবদ আরো ৩০০০/ (তিন হাজার) টাকা নেয়। এ বিষয়ে আরমান হোসেন বলেন, তারা শুধু পরামর্শ নিতে এসেছে চিকিৎসা বা প্লাস্টার করতে আসে নাই। কিন্তু ডাক্তার তাদেরকে জানায়,এটি প্লাস্টার করা জরুরি দরকার তাই করে দিয়েছে এবং তা ৪৫দিন পর খুলতে বলে দেন তার সঙ্গে কিছু ঔষধও লিখে দিয়েছেন।
আরমান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ৪৫দিন পার হওয়ার পরও ব্যাথা কমে নাই তার বাবা শুধু ব্যাথার কারণে খুব কষ্ট পায়। এরপর সে আবারও এক্সরে করে জানিতে পারেন প্লাস্টারটি সঠিক ভাবে না করার কারণে ভাঙ্গা আঙ্গুলটি জোড়া লাগে নাই। যার কারণে তার বাবা সারাদিন-সারারাত ব্যাথায় ছটফট করেন। তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রথমত তারা পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন,কিন্তু কাহকে কিছু না জানিয়ে তারা প্লাস্টার করে দেন। প্লাস্টার করেই ফেলেছেন যেহেতু সেটা গুরুত্ব সহকারে সঠিক ভাবে করলেন না কেন? যার কারণে ৪৫দিনের বেশী তার বাবাকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে এবং তার বাবার কষ্ট দেখে পরিবারের সবাই কষ্ট পাচ্ছে এবং হয়রানি পেরেশানি হচ্ছেন।
এ বিষয়ে রহমান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ডাক্তার শাহাদত হোসেন সেলিম এর বক্তব্য নিতে গেলে, তাকে পাওয়া যায় নাই এবং একাধিক বার মোবাইল ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।