Daily News BD Online

গাইবান্ধার রঘুনাথপুরে আনন্দদায়ক শিশু শিক্ষা প্রকল্পর প্রাক বিদ্যালয়'র বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ


সঞ্জয় সাহা:
পিছিয়ে ও ঝড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ( সিএমসি)। সিএমসি ২০০৪ সালে ব্রাক শিক্ষা চালু করে। এরপর থেকে গ্রামের ভিক্ষুকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে   মুরগী  কিনে দেয়া সহ বিভিন্ন উদ্যোগ করে।  এতে করে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন এর রঘুনাথপুর গ্রামের শেষ বাড়ি স্থানে  আনন্দদায়ক শিশু শিক্ষা প্রকল্পের  প্রাক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য শিক্ষার উন্নয়নে কাজ  করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে  আনন্দদায়ক শিশু শিক্ষা প্রকল্পের অধিনে প্রাক বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রোগ্রাম ও পুরস্কার বিতরণ  অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রোগ্রামে ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

শিশুদের জন্য বিশ্বব্যাপী ইউএসএ আয়োজনে এবং কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার বাস্তবায়নে  বার্ষিক ক্রীড়া প্রোগ্রাম এ ব্যাঙ দৌড়, দৌড়, যেমন খুশী তেমন সাজ, শেখ  হাসিনার বক্তব্য, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাসির উদ্দীন শাহ পলাশ।

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনাদের বাচ্চাদের যাতে ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে সে জন্য বাচ্চাদের পড়াশোনা চালাতে হবে। পড়াশোনা শেষ না করে কাজে লাগাতে নিষেধ প্রদান করেন। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারলে আপনার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনায় আগ্রহ না হারায়  সে জন্য শিক্ষাটাকে আনন্দময় করে তুলতে হবে।

বক্তব্য রাখেন- কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার প্রধান নির্বাহী  আমিনুল ইসলাম সর্দার, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব এর সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা, সাপ্তাহিক পলাশবাড়ি পত্রিকার সম্পাদক উত্তম কর্মকার, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার কো-অর্ডিনেটর কুমারী মৌ রানী সরকার, আনন্দদায়ক শিশু শিক্ষা প্রকল্পর প্রাক বিদ্যালয়  শিক্ষক ইতি আক্তার, লিয়া মনি সহ অনেকে।

আলোচনা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, এখানে আনন্দময় শিশু শিক্ষা প্রকল্প ও কিশোর কিশোরী ক্লাব রয়েছে। আনন্দময় শিশু শিক্ষা প্রকল্পে প্রাক প্রাথমিক বাচ্চাদের পাঠদান করানো হয়। সাংস্কৃতিক, চারু,কারু বিষয়ে শেখানো। আচার, আচরণ, শরীরচর্চা বিষয়ে পাঠ দান করানো হয়। এছাড়াও কিশোর কিশোরী ক্লাবে তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা। তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো সম্পর্কে সচেতন করা। নারীদের কাজের অবদান সম্পর্কে সচেতন করা। মানসিক ও শারীরিক শোষিত না হয় সে সম্পর্কে সচেতন করা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন