সঞ্জয় সাহা, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর তালুক ঘোরাবান্দা গ্রামের বাসিন্দা রাহেনা বেগম এর পুত্র চাঞ্চল্যকর বাইজিদ (৪) হত্যা মামলার মুল রহস্য উদঘাটন করেছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ। বাইজিদ এর বোনের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামি সাকিব হাসান ওরফে রোমান এর প্রেমের সম্পর্কই হত্যাকাণ্ডর মুল রহস্য উল্লেখ করে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের অবগত করেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন- পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন এর তালুক ঘোরাবান্দার বালুখোলা গ্রামের তাহারুল ইসলাম এর নিজ বাসার ১০ থেকে ১২ গজ দূর হতে গত ৮ মে ২০২৩ ইং তারিখ দুপুরে শিশু আব্দুল্লাহ ওরফে বাইজিদ (৪) নিখোজ হন। এতে করে হত্যাকাণ্ডের শিকার বাইজিদ এর মা মোছা: রাহেনা বেগম (৩৫) বাদি হয়ে চলতি সালের ৯ মে পলাশবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর-৪০৫। পরে তিনি একই থানায় এজাহার দায়ের করলে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা ১০ মে ২০২৩ ইং তারিখ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৭, জিআর নং ১০৬ /২০২৩ পলাশবাড়ী থানায় মামলা রুজু করেন- যার মামলা নং- ১৬/১০৬। একই দিন পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওরফে শেরেকুল ও ববিতা বেগম এর পুত্র সাকিব হাসান ওরফে রোমান (১৯), তালুক ঘোরাবান্দা মধ্যপাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেন (মেকার) ও মোছা: শরিফা বেগম এর পুত্র শরিফুল ইসলাম (২০) গত ১০ মে ২০২৩ ইং তারিখ গ্রেফতার করে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার বিষয়ে সন্তোষজনক তথ্য প্রদান না করায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের রিমান্ডের আবেদন করেন এবং পলাশবাড়ী থানা পুলিশ সহ জেলা পুলিশ এর বিভিন্ন ইউনিট মামলার রহস্য উদঘাটনে তৎপর থাকেন। পরে গত ১৩ই মে ২৩ ইং তারিখ বিকালে শিশু বাইজিদ এর মৃতদেহ একই গ্রামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত রোমান এর বাসার কয়েকশ গজ দূরে ধান ক্ষেত থেকে গলিত অবস্থায় উদ্ধার করলে ১৪ই মে বিজ্ঞ আদালত সাকিব আল হাসান রোমান (১৯) ও শরিফুল ইসলামকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এবং উক্ত হত্যাকারী রোমানকে ১৫ই মে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত করলে ফৌ:কা: বিধি আইনের ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি মূলক জবাবদিহি প্রদান করে।
প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসন ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল ধ্রুবজ্যোতির্ময় গোপ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নি: নুর ই আলম সিদ্দিকী, গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।