Daily News BD Online

যৌতুকের টাকার জন্য শশুরকে হত্যা


গৌরীপুর প্রতিনিধি,ময়মনসিংহঃ

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেড়া গ্রামের বাট্টা মিলন উচ্চ বিদ্যালয় এর সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বাবুল মাস্টার কে তার মেয়ে জামাই এটিএম নাজমুস সাকলাইন অপু মসলা বাটা শিল দিয়ে হত্যা করেছে।
গত ১৯মে আব্দুল জব্বার বাবুল মাস্টার ও তার স্ত্রী হামিদা খাতুন   নেত্রকোনা সদর নাগড়া মেয়ে  সুইটির বাসায় যায়। রাতে খাবারের পরে সবাই ঘুমিয়ে  যাওয়ার পর রাত ৩টায় মেয়ে জামাই এটিএম নাজমুস সাকলাইন অপু মসলা বাটা শিল দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথায় সজোরে আঘাত করে । এ সময় পাশে শুয়ে থাকা বাবুল মাস্টারের স্ত্রী হামিদা খাতুন চিৎকার করে উঠলে তাকেও শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে । চিৎকার শুনে মেয়ে সুইটি মা-বাবার রুমে এসে দেখে তারা দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে স্ত্রী সুইটিকেও মাথায় আঘাত করে । এ সময় তাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার গুরুতর অবস্থা দেখে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় । পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুইদিন আইসিওতে থাকার পরে ২২ মে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত বাবুল মাস্টারের ছোট ভাই মোঃ আব্দুল খালেক বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এবং এ মামলার সাক্ষী নিহতের মেয়ে সাবিকুন্নাহার  সুইটি তিনি আমাদেরকে জানান। আমার সাথে ১২ বছর আগে নাজমুস সাকলাইন অপুর বিয়ে হয়। এবং বিয়ের পর থেকেই আমাকে  কিছুদিন পরপর বলতো আমার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিতাম। বেশ কয়েকবার টাকা আমি এনেও দিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন আগে সে আবার টাকা চেয়েছিলো। আমি আমার বাবাকে বলতে না পারায় সে সুখৌশলে আমার বাবা এবং মা কে বাসায় ডেকে এনে মসলা বাটা শিল দিয়ে হত্যা করে । এ ঘটনার তৃতীয় সাক্ষী নিহত আব্দুল জব্বার বাবুল মাস্টারের স্ত্রী হামিদা খাতুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে । তিনি বলেন নাজমুস সাকলাইন অপু সে পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় আমার স্বামীকে হত্যা করে ।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফুল হক  তিনি জানান। আইনের 302 ধারাই মামলা হয়েছে এবং আমরা ইতিমধ্যে আসামি নাজমুস সাকলাইন অপুকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের টিম পাঠিয়ে দিয়েছি। দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হবে। খুনি মামলার আসামি নাজমুস সাকলাইন অপু বর্তমানে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে বারহাট্টা শাখায় নিয়োজিত আছেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন