Daily News BD Online

নওগাঁর মান্দায় রাস্তা নিয়ে বিরোধ-প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা


এ.বি.এম.হাবিব (নওগাঁ) :
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ৬নং মৈনম ইউনিয়নে যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে, নিয়ে বিরোধ এর জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা এবং সাজানো নাটক সাঁজিয়ে আদালতে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,  উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দিঘীর পাড় হঠাৎ পাড়ায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও মন্ডল মাতব্বর সহ সকলের সহোযোগিতায় যাতায়াতের জন্য মাটি কেটে রাস্তা বানানো হয়। কিন্তু পাশবর্তী সুদারু মজিদ রাস্তার উপর বেড়া দেয়। তাতে বসবাসকারীদের যাতায়াতে ভিষন অসুবিধা হয়। কিন্তু মজিদ সুদারু, মামলাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কেহ কোন প্রকার সাহস পায় না কিছু বলতে। গত সোমবার ০৩/০৪/২৩ইং তারিখে ওখানকার বসবাসকারী মোঃ খোকন উদ্দীন সারাদিন চার্জার ভ্যান চালিয়ে, চার্জার ভ্যান সহ তার বসতবাড়ীতে যেতে লাগলে, রাস্তায় দেওয়া বেড়া চার্জারভ্যানের চাকায় জড়িয়ে যায়, সে চার্জারভ্যান থেকে নেমে বেড়া সড়িয়ে দিতে লাগলে, সুদারু মজিদ তার স্ত্রী,শাশুড়ীসহ কয়েকজন মিলে ভাড়াটে কয়েকজন মিলে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করে খোকনকে রক্তাক্ত জখম করে খ্যান্ত না হয়ে, আবারও মজিদ লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিল্লা-চিল্লিতে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে এর পর স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয় গুলো অবহিত করে,মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রক্ষিতে মান্দা থানার এ এস আই লতিফ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন।

পরবর্তীতে মজিদ মান্দা থানায় একটি অভিযোগ করেন যার প্রক্ষিতে এ এস আই আব্দুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করেন। এই বিষয় গুলো নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান আপোষ নিঃপত্তির লক্ষে ঈদের পরে শনিবারে আলোচনা ও নিঃপত্তির দিন ধার্য করে দু,পক্ষকে জানিয়ে দেন। কিন্তু সেই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা লতিফ তার নাতনি ও নাতনি জামাই মজিদকে সঙ্গে নিয়ে নওগাঁ আদালতে চার্জার ভ্যানচালক খোকন, তার ছোটভাই লিটন ও তার ভাগিনাকে আসামী করে একটি মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করেন। আদালত তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য মান্দা থানায় প্রেরণ করেন।

সরেজমিনে সেখানে গেলে, স্থানীয় ও আশে-পাশের বাড়ীর লোকজন সকলে জানান, ঘটনা ঘটেছে রাস্তায় বেড়া দেওয়া নিয়ে, এবং খোকন বেড়া সড়াতে গেলে বুলবুলি তার স্বামী মজিদ, তার মা, নানিসহ অনেকে মেরে খোকনের মাথা ফাটিয়ে দেয়। সেই অপরাধ বা মামলা হওয়ার আগেই খোকন ও তার পরিবার যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তাই তারা বুলবুলিকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দিয়েছে যাহা ব্যাস্তবের সঙ্গে কোন মিল নেই বা ধর্ষণের কোন ঘটনাই ঘটে নাই। স্থানীয়রা আরো জানায়, এই মুক্তিযোদ্ধার দাপটে এই হঠাৎ পাড়ার সবাইকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে মজিদ। সে সুদের ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্তও থাকে। এই মজিদ সেখানে ঘরজামাই থেকে আশে-পাশের বউ-বেটিদের উক্তাক্ত সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে এমনকি কোন সুন্দরী বউ-বেটিদের মোবাইল ফোন ট্রাকিংও করে আড়িপেতে কথাবার্তা শোনে এবং পরে সেগুলো বিষয় নিয়ে ব্লাক-মেইলিং করার চেষ্টা করে এমন অনেক অভিযোগ স্থানীয় মহিলা-পুরুষ সাংবাদিকদের দেন।

এ বিষয়ে ধর্ষণের চেষ্টার মামলার বাদী ও তার স্বামী মজিদের বক্তব্য নিতে তাদের বাড়ীতে গেলে, সেখানে বাড়ীতে তালাবদ্ধ দেখা যায়। পাশের বাড়ীসহ আশে-পাশের লোকজন জানায়,সাংবাদিকদের আসা টের পেয়ে কিছুক্ষন আগেই তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়ী থেকে চলে গিয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বরে কল দিলোও তারা রিসিভ করে নাই। মামলার স্বাক্ষি মুক্তিযোদ্ধা লতিফ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখানে রাস্তা নিয়ে মারামারি হয়েছে কিন্তু ধর্ষণের কোন ঘটনাই ঘটে নাই।   তিনি সেই মামলার এক নম্বর স্বাক্ষি আছেন এবং তিনি নিজে সঙ্গে গিয়ে আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোন পরামর্শও তিনি দেন নাই এবং ধর্ষণের চেষ্টারমত কোন ঘটনাও ঘটে নাই এবং তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে দুপক্ষের অভিযোগের তদন্ত অফিসার এ এস আই আব্দুর লতিফ ও এ এস আই আব্দুর রহমান এবং মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে,তারা একই কথা জানান, রাস্তায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু,পক্ষই থানায় ও চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। চেয়ারম্যান জানান, দু,পক্ষের তদন্ত অফিসার সহ বিষয়টি আপোষযোগ্য থাকায় ঈদের পরে শনিবারে বসার কথাও বলেছিলেন কিন্তু একপক্ষ গোপনে অপর পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করেছে যাহা সম্পর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে মামলাটির তদন্ত অফিসার এস আই মোঃ শামছুর রহমান দেওয়ানের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,  তাদের রাস্তার বেড়াকে কেন্দ্র করে ওখানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে আর ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে যে মামলাটি করেছে তার তদন্ত চলছে,তদন্ত সাপেক্ষে তদন্ত রিপোর্ট করা হবে বলে তিনি জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন