মোঃ কবির হাওলাদার, পটুয়াখালী :
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলার পৃথক স্থানে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ৫ জুন) এ ঘটনা ঘটে। পটুয়াখালীতে একদিনে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু চার শিশু হলো: গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যাণ কলস গ্রামের শাহিন হাওলাদারের ছেলে মো.আব্দুল (২), গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের জুবায়ের মৃধা (৪), গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামের মাইনুল ইসলাম (৩) এবং গলাচিপা ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের হেলাল মাতবারের ছেলে প্রতিবন্ধী তামিম মাতবর (১০)। জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলার মধ্য চরমোন্তাজ গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে মো. আব্দুল। সোমবার দুপুরে শিশু আব্দুল নানার বাড়ির একটি পুকুরের পাশে খেলছিল। তাকে না পেয়ে মা লিজা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সকাল ১০টায় জুবায়ের মৃধার বাবা ও মা ঘরে কাজ করতে ছিল। সে সময়ে জুবায়ের ঘরের সামনে উঠোনে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। কিছুক্ষণ পর জুবায়েরকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। পরে ঘরের সঙ্গে থাকা পুকুরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। জুবায়ের গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের জলিল মৃধার ছেলে।
অপরদিকে সোমবার সকালে প্রতিবন্ধী তামিমের বাবা প্রতিদিনের মতো কাজে যায়। মা গরুকে ঘাস খাওয়ার জন্য মাঠে গরু চরাতে গিয়েছিল। প্রতিদিন প্রতিবন্ধী তামিমকে বেঁধে রাখতো। কাজের ব্যস্ততার কারণে তামিমকে বাঁধা হয়নি, পরে ঘরের পাশেই খালে পড়ে যায় তামিম। স্থানীয় লোকজন খাল থেকে মরদেহটি তীরে উঠায়। প্রতিবন্ধী তামিম গলাচিপা ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের হেলাল মাতবারের ছেলে।এ ছাড়াও সোমবার সকালে মাইনুল ইসলামকে তার বাবা নানাবাড়ি রেখে গ্রামের বাড়িতে যায়। এ সময়ে ঘরের পাশেই পানির ডোবায় পড়ে মাইনুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার ও গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোণিত কুমার গায়েন জানান, সকাল থেকে এ পর্যন্ত চার শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Tags
বাংলাদেশ