Daily News BD Online

দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালন এই নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ওসি সোলেমান


ডালিম কুমার দাস টিটু :
দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালন এই নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ওসি সোলাইমান।  লক্ষ্মীপুর কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোলাইমান যোগদান করার পর থেকে কমলনগরের অপরাধ এবং অপরাধীরা অনেকটা নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ অনেকটা স্বস্তির মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। নিয়ন্ত্রণে আছে মদ গাঁজা জুয়া সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড।  অত্যান্ত কৌশলী এই কর্মকর্তা অপরাধীর মানবতা আর মনুষ্যত্ববোধকে জাগিয়ে তোলে তাকে অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেন। বিশিষ্টজনেরা মনে করেন  সব কিছুতে শাস্তি নয় ভালোবাসা দিয়েও অপরাধ দমন করা যায় তার আর এক উদাহরণ ওসি সোলাইমান। কোন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কোন ব্যাক্তিকে ছাড় না দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য তুলে দেন আদালতে।  এবং তাকে বুঝিয়ে দেন অপরাধ না করে সুন্দর ভাবে স্ত্রী সন্তান সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকার নামই হচ্ছে জীবন। একসময় সেই অপরাধীই নিজেকে পরিবর্তন করে অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেন। ওসি সোলাইমান এর আগে রামগতি থানাতে দায়িত্ব পালন করেছেন।  দায়িত্ব পালন কালে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি তিনি । এখনো রামগতি থানার জনগন এই কর্মকর্তার ভালোবাসায় সিক্ত।  সাম্প্রতি সময় একজন আপোষহীন কর্মকর্তা ওসি সোলাইমানের বিরুদ্ধে আসামী ছেড়ে দেওয়ার একটি অভিযোগ ওঠে।  বিষয়টি নিয়ে ওসি সোলাইমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,  বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।  তিনি বলেন, ভালো কাজ করলে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া থাকবে।  কেউ খারাপ মন্তব্য করবে কেউ ভালো মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক। আমি অপরাধ দমনে কাজ করি।  অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করি।  অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়াতো আমার কাজ না । তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার হওয়া দুই আসামীর মধ্যে একজন আসামী হঠাৎ বুকে পেইন ওঠলে ইউপি সদস্যের জিম্মায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এটাতো মানবিক বিষয়।গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মানবিক বোধ থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো আমারতো কর্তব্য । সাম্প্রতি পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফের  নির্দেশনায় শনিবার (১০ জুন) কমলনগর থানার ওসি  মোহাম্মদ সোলাইমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নিয়মিত মামলা সহ বিভিন্ন মামলার ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেন। এভাবে প্রতিদিন নিজেকে কোন না কোন ভালোকাজের সাক্ষী করছেন তিনি। গ্রেফতারের সময় যারা সাহসী ভূমিকা রেখে ছিলেন তারা হলেন এসআই - সফিকুল ইসলাম, এসআই - আমির হোসেন, এসআই - ইকবাল হোসাইন এবং এএসআই - রূপম বড়ুয়া। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন