আব্দুল হামিদ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
কমলগঞ্জ, কুলাউড়া,জুড়ী, বড়লেখা মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলকে চায়ের পাশাপাশি পাহাড়-টিলায় ফলানো আনারস, লেবু, লিচু, আম, জাম ও কাঠালের খ্যাতি রয়েছে সারাদেশে। জ্যৈষ্ঠ মাস এই মধু মাস জুড়েই ফলের বাজারে বিভিন্ন দেশীয় জাতের পাকা ফল পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরণের পাকা ফলে.র মৌ মৌ ঘ্রাণে মুখর হয়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গলের ফলের বাজার।
আনারস : মৌলভীবাজার জেলায় বারো মাসই রসালো ফল আনারস পাওয়া গেলেও এ সময় যে আনারস মিলে সেগুলোর স্বাদ ও গন্ধই আলাদা। এখানকার আনারসগুলো সিজনের আনারস। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন বাগানের ফলানো আনারস ৪০ টাকা থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের আনারস ১২০ থেকে ১৮০টাকা পর্যন্ত প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে।লিচু : শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে যে লিচুর ফলন হয় সেই লিচু শেষ হয়ে গেছে ১৫ দিন আগেই। বর্তমানে শ্রীমঙ্গল সহ জেলার বিভিন্ন ফলের বাজারে যে লিচু বিক্রি হচ্ছে সেগুলো রাজশাহী-দিনাজপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থান থেকে সংগ্রহ করা।
স্থানীয় ফলনকৃত প্রতি ১০০ লিচ্চু ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার ভিতরে বিক্রি হলেও আমদানি করা প্রতি ১০০ লিচু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কাঠাল : কাঠালের জন্য মৌলভীবাজার জেলার সুনাম রয়েছে সারাদেশে। কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের পাহাড় ও জুড়ী, সমনভাগ ও পাতারিয়া বড়লেখা, কুলাউড়া,
টিলায় কাঠালের ভাম্পায়া ফলন হয় প্রতি পিচ ২০-৫০। সেগুলোর খুব মিষ্টি-সুস্বাধু ও রসালো হয়ে থাকে।
মৌলভীবাজার জেলায় ফলনকৃত কাঠাল স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিঠিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়ে আসছে। বাজারে খুচরা আকার অনুযায়ী প্রতিটি কাঠাল ৩০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আম : স্থানীয়ভাবে ফলনকৃত আম প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এখন রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফলানো আম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় আম ৫০ থেকে ১০০ টকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে আমদানি করা আম প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ১২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জাম : জাম আমদানি তেমন একটা করা লাগেনা। স্থানীয়ভাবে ফলনকৃত জামেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। এতেই চাহিদা মিটে যায়। জাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কলা : পাহাড়ি কলা শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড় টিলায় প্রচুর কলার ফলন হয়। স্থানীয় ভাবে ফলনকৃত কলা আড়ৎদারদের মাধ্যমে বিক্রি হয়। আড়ৎ থেকে খুচরা বিক্রেতারা কলা সংগ্রহ করে বাজারে ও বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে থাকেন।
শ্রীমঙ্গলে পেয়ারা, চম্পা, জারা, জেওয়া, লম্বি, আনাজি (কাছকলা), আইট্রা (বিচিকলা), স্থানীয় ফলনকৃত সাগরকলা, ও পাহাড়ে উৎপন্ন এক ধরণের লাল চম্পাকলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাভেদে প্রতি হালি কলা ১০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কলা এ মৌসুমে কলার ফলনও হয়েছে ভালো।
লেবু : শ্রীমঙ্গলে লেবুর উৎপাদন ভালো হলেও ভরমৌসুমে দাম একেবারে কম পাচ্ছেন চাষিরা। লেবু খুচরা ৫ টাকা থেকে ১০/২০ টাকায় হালি বিক্রি হলেও পাইকারি ১ হাজার কাগজি লেবু ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হওয়াতে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে।