সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
সাপাহারের অদূরবর্তী পাইকবান্দা (কলাপাকা) গ্রামে এ মহিলা (২৪) কে শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে আসাদুল ইসলাম আসাদ (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আসাদ শিতলমাঠ গ্রামের গোলাম রাব্বানীর ছেলে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় মহিলার স্বামী শাহীন আলম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালত নওগাঁয় একটি নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১নং আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ ওই মহিলাকে নানান কু পরামর্শ দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুন ওই মহিলার স্বামী আম বিক্রয়ের জন্য সাপাহার বাজারে আসেন। এরই সুযোগ নিয়ে রাত্রি সাড়ে নয়টার দিকে আসামী আসাদ ওই মহিলার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে। মহিলার স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর হাত ধরে টানটানি করে এবং দেহের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। বাদিনী চিৎকার করতে থাকলে আসামীর সহযোগী মাইনুল ইসলাম ও হাদিসুর রহমান দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলাকে আঘাত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে ওই মহিলা মাটিতে পড়ে গেলে তার পেটে উপুর্যপরী লাত্তি মারে। পরে শোরগোল শুরু হলে এলাকার লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। ঘটনা জানতে পেরে ওই মহিলার স্বামী তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ১৫জুন মহিলার স্বামী বাদি হয়ে বিজ্ঞ আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১০ ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ১ নং আসামী আসাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “ আমি পুলিশ কনস্টেবলে চাকরী করি। আমি পাইলস অপারেশন জনিত কারনে বাসায় আছি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।