Daily News BD Online

চাকুরীর দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেবেন, মাধ্যমিক শিক্ষক পদের চাকুরীও পাইয়ে দেবেন এমন আশ্বাস দিয়ে লোভ দেখিয়ে কোটি টাকারও বেশি আত্বসাৎ করেছেন খাগড়াছড়ির দিঘীনালার এক নামধারী শিক্ষক। এই অভিযোগ দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিচয়দানকারি বিনয় কান্তি চাকমা (৪৫)‘র বিরুদ্ধে। শুধু মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগই নয়, বিভিন্ন ব্যাংকের চাকরি, খাদ্য অধিদপ্তরের চাকরি, প্রাইমারী শিক্ষকের চাকরি, গ্যাস ফিল্ডে চাকরিও দিয়ে থাকেন তিনি এমন সব মিষ্টি মিষ্ট প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকারও বেশি আত্বসাৎ করেছেন বিনয় কান্তি চাকমা।শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করিয়ে শিক্ষক পদের চাকুরী পাইয়ে দেবেন এমন প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই নিয়েছেন অর্ধ কোটি টাকা। অথচ দুর্নীতি বন্ধ ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ২০১৫ সন থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে “শিক্ষক নিয়োগ” প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে  দেশের সকল বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়ে আসছে। জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিঘীনালার একাধিক শিক্ষক জানান অভিযুক্ত শিক্ষক বিনয় কান্তি চাকমা ১৩ জন শিক্ষার্থীকে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা সহ চাকুরী দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫  লক্ষ টাকা করে নিয়েছে । নিবন্ধন পরীক্ষা ও নিয়োগ শেষ হলেও বিনয় কান্তি চাকমা নানান তালবাহানা করে সময়  অতিবাহিত করছে বলেও জানান ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীরা। শুধু শিক্ষক নিয়োগই নয়, বিভিন্ন ব্যাংকের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৪ জন প্রার্থী থেকে ১৬ লক্ষ টাকা, খাদ্য অধিদপ্তরের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২ জনের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা , প্রাইমারী শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২ জন থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা, গ্যাস ফিল্ডে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১ জন থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী বেশিরভাগই হলেন পাহাড়ী আদিবাসী।


এ ব্যাপারে আরেক ভুক্তভোগী কাজী হাবিব উল্লাহ রানা জানান, বিনয় কান্তি চাকমা তার নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাওলাত নিয়েছে। নির্ধারিত সময় পার হলেও টাকা ফেরৎ দিচ্ছে না। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় হাওলাত টাকা উদ্ধারে বাধ্য হয়ে খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষক বিনয় কান্তি চাকমাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।মামলা দায়ের করার পর থেকে বিনয় কান্তি চাকমা আমাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। যার ভয়ে আমি ঠিক মতো আমার নিজ এলাকায় অবস্থান করতে পারছি না। তার হুমকির অনেক কল রেকর্ড আমার কাছে ।আর আমি হুমকির বিপরীতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় দুটি জিডিও করেছি। আমি ন্যায় বিচার পাবো আশা রাখি। আর বিনয় কান্তি চাকমার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর অবগত আছেন।  

বিনয় কান্তি চাকমা নিজেকে দীঘিনালা মডেল বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিচয় দিলেও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক সাধন মনি চাকমা তা অস্বীকার করে বলেন, বিনয় কান্তি চাকমা প্রায় ৫ বছর আগে এখানে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করতো।

কাজী হাবিব উল্লাহ রানার কাছ থেকে টাকা ধার নেয়ার কথা প্রধান শিক্ষক জানেন বলে জানিয়েছেন। 


সাধু সাবধান,এ ধরনের লোক কখনও অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কখনও সচিব  কিংবা নানা ধরনের পদধারী পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন