এস. হোসেন মোল্লা :
রাজধানীর পাশে গাজিপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন টঙ্গি
এলাকায় তুরাগ নদীর পাড় ঘেঁষে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে
সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজ। এই কলেজের প্রধান দায়িত্বে আছেন
অধ্যক্ষ, ওয়াদুদুর রহমান।প্রতিষ্ঠান এর প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্বশীলতা ও
কঠোর পরিশ্রমের কারণে তার সুনাম ও জনপ্রিয়তা বহুদিন যাবত বরাবর গগনচুম্বী
যা নি:সন্দেহে অনস্বীকার্য । একদিকে তিনি যেমন আদর্শবান অধ্যক্ষ তেমনি
আরেকদিকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক,পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সহ সার্বিক সচেতনতা ও
যত্নশীলতায় অন্তহীন হিসেবে পরিলক্ষিত হয় ।
গত ৮ই আগস্ট তার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের এক সাক্ষাতকারে বলেন, চলমান
পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ তাই তিনি শক্ত হাতে সচেতনতার সঙ্গে
পরিবেশ ও স্বাস্থ্যরক্ষায় প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন ও রোগমুক্ত রাখতে নিজ
উদ্যোগে বহুদিন যাবত কাজ করেই চলেছেন।বহুবছর ধরে তিনি বিভিন্ন ভাবে
আদর্শের এক সুন্দর উদাহরণ হিসেবে নিজ প্রতিষ্ঠানকে পরিচিত করনের পাশাপাশি
নিজেও এক আদর্শবান শিক্ষক ও মহান ব্যাক্তিত্বের নিদর্শন বহন করছেন।তার
শিক্ষাংগনকে তিনি সুন্দর ও সুশৃংখল দেশ-জাতি গঠনের শক্তিশালী প্রামাণ্য
আধার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।তিনি নিজেও দেশ ও জাতির গৌরব ও কিংবদন্তি
এক মহান শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন । তার তুলনা যেন তিনি নিজেই।
বিস্তারিত
খবরে জানা যায়, ভয়ংকর ডেঙ্গুর মরণ ছোবল থেকে রক্ষার জন্য তিনি টঙ্গি
সিটি করপোরেশনকে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বললেও তারা যথা সময়ে কোনো
সদুত্তর বা ভুমিকা গ্রহনে সক্ষম হয়নি উক্ত দপ্তর । যেহেতু অধ্যক্ষ
ওয়াদুদুর রহমান তার প্রানপ্রিয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও ছাত্র
ছাত্রীদের প্রতি পরিপূর্ণ ভাবেই নিবেদিত প্রান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই
অবিরাম, অন্তহীন ভাবে কাজ করে চলেছেন কাজেই জরুরি মুহুর্তে কারো অপেক্ষায়
বেশি সময় ধরে থাকতে তিনি সরাসরি অনিচ্ছুক। তাই এই সচেতন অধ্যক্ষ নিজ
উদ্যোগে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারপাশে পরিস্কার ও মশা নিধনের জন্য ঔষধ
ছিটিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর,
ডেংগুমুক্ত ও নিরাপদ করেন।খবর নিয়ে জানা গেছে,বহুবছর ধরেই এই অধ্যক্ষের
মহানুভবতা , অধ্যাবসায়, নিয়মানুবর্তিতা, আদর্শ, অনুরাগ, বিনয়, শিষ্টাচার,
দুরদর্শিতা, আন্তরিক প্রচেষ্টা, সুক্ষ্মদর্শিতা ও সময়ানুবর্তিতার কারণে
মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে আছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং সাথে তার
নিজেরও।বর্তমান সময়ে এমন আদর্শবান ও নিবেদিত প্রান মহান শিক্ষক নিতান্তই
অপ্রতুল।
তিনি গণমাধ্যমকে আরো জানান, তাদের শুধু শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ভিতরের চারপাশ নয় প্রতিষ্ঠানের বাইরেও কোনো মশা, পোকা,
ক্ষতিকর যে কোন প্রানী বা পদার্থ যেন না থাকে সে জন্য তিনি সর্বদা সচেতন ও
উদগ্রীব । কাজেই তিনি মশা নিধনের জন্য নামীদামী স্প্রে করেন নিজ
উদ্দোগেই।তার মতে,
" ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে এক মুহূর্ত কারো
অপেক্ষায় না থেকে যার যার অবস্থান থেকে যথাশীঘ্র ব্যাবস্থা নিলেই নিশ্চিত
ভাবে ডেংগু নিধন করা সম্ভব"।
তার সম্পর্কে তথ্য নিয়ে জানা
যায়,তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধু পরিবেশ নয় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার মান নিয়েও অতি সচেনতন এবং তার প্রতিষ্ঠানে গরীব ও মেধাবী
শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট সহমর্মী ও সহানুভূতিশীল। তিনি সাংবাদিকদের
বলেন, গেলো করোনা কালে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তিনি তাদের
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন নিয়মিত ভাবেই পরিশোধ করে এসেছেন। অনেক দরিদ্র
ছাত্র ছাত্রী আছে যাদের অভাবের কারণে অনেক ক্ষেত্রে বেতন ও আনুসাংগিক ফি
দিতে না পারলেও তিনি বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা ও মওকুফ করে থাকেন।আরও দেখা
গেছে , তিনি একজন গণমাধ্যম বান্ধব ব্যক্তিত্বও বটে। কোনো গণমাধ্যম কর্মি
তার সাথে দেখা করলে তিনি সবসময় সম্মানজনক, সাবলীল ও খোলামেলা ভাবে সকল
তথ্য প্রদান করে থাকেন।