এস. হোসেন মোল্লা : রাজধানীর দক্ষিণখান গাওয়াইর বাজার সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে প্রতিদিন সকালে অলটাইম কোম্পানির গাড়ি ভর্তি মালামাল (বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স) এলোপাতাড়ি রেখে পথচারীদের নিয়মিত বিঘ্ন ও ঝগড়াঝাটি নির্দিধায় ঘটিয়ে চলেছে । রোজ সকালে ব্যাস্ত ও চলাচলরত সকলেই ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী হওয়া সত্বেও কয়েক বছর যাবত প্রতিকারহীন এসব জনদুর্ভোগ কর্মকান্ড।
বিভিন্ন মাধ্যমে সকালের ব্যাস্ততম সময়ে তাদের দাপুটে রাস্তা বেদখল ও অরাজকতা জানতে পেরে সরেজমিনে উক্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যান কিছু সাংবাদিক। হঠাৎ করে কোন প্রকার পরিদর্শকের উপস্থিতি টের পেয়ে অলটাইম প্রডাক্টের এক ভ্যানচালক মালের ক্যারেট দিয়ে ধাক্কা দেয় দায়িত্বরত এক সাংবাদিককে। সাংবাদিক প্রতিবাদ স্বরূপ অলটাইম ডিলারের ম্যানেজারকে জানানো সত্বেও অবস্থা বেগতিক দেখে অলটাইমের সেই ভ্যানচালককে সাংবাদিক তার পরিচয় দিলে ভ্যানচালক প্রকাশ্যে উদ্ভট ভাবে মাত্রাতিরিক্ত অকথ্য - অসম্মানজনক ও অশ্লিল ভাষায় গালাগাল করে বিরাট বাধা হয়ে মরন হুমকির মতো তেড়ে আসলে সেই সাংবাদিক নিরাপত্তার অভাবে তথা প্রান নাশকতার ঝুঁকির মুখে তথ্য সংগ্রহ করা বাদ দিয়ে দৌড়ে কেটে পরেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে !
এ বিষয়ে সেই অলটাইম ডিলারের "বিসমিল্লাহ ট্রেডাস" ম্যানেজার মো: ফজলুল হক সাংবাদিকের কথায় কোনো গুরুত্ব না দিয়ে হিসাবের কাজে ব্যস্ততা দেখান ডিলার হাফিজুর রহমান সহ। গত ৭ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) এই পথ দিয়ে সকালে ফুটপাথে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালনের সময়ে ঘটনাটি ঘটলেও এমন অরাজকতা স্থায়ী ভাবে প্রতিদিনই সকালে অন্যদের সাথে ভয়ানহ ও চরম ভাবে ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
জানা যায়, উক্ত ঘটনার সময় অলটাইম প্রডাক্টের সেই ডিলারের ম্যানেজারের কাছে অশ্লিল ভাষায় সাংবাদিককে গালাগালি দেয়া ভ্যান চালকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে ম্যানেজার অপমান স্বরূপ ভয়ংকর, ক্ষিপ্ত প্রভাব প্রদর্শন ও ব্যাস্ততার ছল দেখিয়ে এড়িয়ে যান।এতে করে তাদের নৈতিকতার অভাব ও মাস্তান-সন্ত্রাসীর লুক্কায়িত চরিত্র ফুটে ওঠে। যা দেশ ও জাতির জন্য আপত্তিকর ও ভীতিকর বটেই।
উক্ত সকল বিষয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীগন মৌখিক অভিযোগ পেলে গোপনে কিছুদিন সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন প্রতিদিন সকালে রাস্তাটির দুইপাশে অলটাইম প্রডাক্টের কাভার্ড ভ্যান দিয়ে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মালামাল নামানোর সময়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী,অভিভাবক, চাকুরীজিবি ও বিভিন্ন পেশার জনতার সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরীর সাথে সাথে রাস্তাটিতে অস্বস্তিকর যানজটের তান্ডব ঘটছে!গোপনে জানা যায় সেখানে অলটাইম কোম্পানির ডিলার,ম্যানেজার সহ চাকুরে ভ্যান চালক ও বিভিন্ন ড্রাইভাররা ছদ্মবেশী গোপন সন্ত্রাসী ! এরা পারেনা এমন কোন কাজ নেই!
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন," এলাকার বিভিন্ন অবৈধ বাজার ও গাড়ি থেকে যারা চাঁদা নেয় তারা একসময় নিয়মিত লাঠিসোঁটা নিয়ে যানযট দূর করতে শক্তি খাটিয়ে দায়িত্ব পালন করতো। তারা এখনও নিয়মিত চাঁদাবাজী চালালেও আগের মতো কোন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়না। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে সেই চাঁদাবাজরা আজ প্রমোশন পেয়ে মহাব্যাস্ত সন্ত্রাসী ও মাস্তান বনে গেছে ! এসব যানযট দূর করার সময় তাদের কোথায় " !
আরও জানা যায়, এসব ব্যাপারে সরকারি ভাবেও কোনো প্রশাসনের নজরদারি চোখে পড়েই না। কিসের অপশক্তিতে তারা দিনের পর দিন এভাবেই রাস্তা বন্ধ করে জনসাধারণের পথ রুদ্ধ করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং কেন এমন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না? লাঠিসোঁটার সেই কথিত দেশপ্রেমিকরা আসলে কোথায় কি করছে এবং কেনই বা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আছে? উত্তর সিটি কর্পোরেশন জনসেবার নামে আসলে কি করছে ? এমন প্রশ্ন সকল প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের যা অবশ্যই খতিয়ে দেখা জরুরি!
এই খবর প্রচার ও প্রকাশের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট প্রভশাসন,স্থানীয়, প্রভাবশালী ও সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের মানহানি,হুমকি ও কাজে বাধা সৃষ্টি করায় উচিত বিচারের দাবী জানানো হচ্ছে।
Tags
বাংলাদেশ