শাহাদাত হোসেন মানিক :
রাজধানীর উত্তরায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে দেহব্যবসা ও মাদকের আখড়া। দেখতে সুন্দরীদের নিয়ে গড়ে উঠা এ ব্যবসার নেতৃত্বে রয়েছেন সালমা। আর সালমাকে সুন্দরী নারী দিয়ে সহযোগিতা করছেন মনি, নাজমা আক্তার সুমি, স্বপ্না ও জান্নাত।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সিন্ডিকেটের এই সদস্যার সমাজের বিত্তবানদের টার্গেট করেন। এরপর সখ্যতা গড়ে তাদের কথা মত নিরাপদে সেই নারীদের পাঠিয়ে দেন তাদের ডেরাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সামাজিক ভাবে বিত্তবান ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের ডেকে নিয়ে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করেন। আবার নামধারী সাংবাদিক ও বখাটে পোলাপান দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেই।
অপর এক ভুক্তভোগী জানান, এই নারীদের পোশাক আষাকে এতোটাই আধিপত্যের ছাপ যেন রাস্তায় কোন আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ করার সাহসই পাবেন না। এই সুযোগে তারা মাদকের বড় চালান পাচার করেন।
এই চক্রের সন্ধানে নেমে জানাযায়, তারা বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালের সামনে টার্গেটকৃত শিক্ষার্থীদের সাথে আড্ডা ও সখ্যতা জমানোর চেষ্টা করেন। তাদের পোশাক দেখলেই মনে হবে কোন ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। বাহারি এই পোশাকের মাঝে লুকিয়ে থাকে এক ভয়ঙ্কর চেহারা। যার মূলহোতা হিসেবে কাজ করেন সালমা। তার দলে রয়েছে একাধিক নারী ও পুরুষ দালাল।
তাদের ফাঁদে পড়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রথমে সখ্যতা গড়ে। অর্থনৈতিক সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করে। এর তাদের অনলাইনে টাকা ইনকামের অফার দিয়ে ডেকে এনে জোর করে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করেন। আবার কারো কারো ভিডিও রেখে ব্ল্যাকমেইলিং করে বার বার বাধ্য করা। এভাবেই অনেক জড়িয়ে পড়েন এ জগতে।
বলছিলাম, উত্তরার ১১নং সেক্টর, ৩৮নাম্বার বাসা, লিফ্টের ৩ শীন শীন জাপান হাসপাতালের অপর পাশে স্পার সেন্টারের আড়ালে রমরমা দেহ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মনিয়া নামের এক নারী। এর সাথে জড়িত আছে আশুলিয়া মনি,
মরিয়ম আক্তার মিম ও সাভারের মাহি। তারা সবাই এপথে এসেছেন সালমার হাত ধরে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এদেরই (পতিতাবৃত্তি) একজন বলেন,আমরা প্রথমে কিছু ছাত্রীদের টার্গেট করি। সাথে সালমা থাকে। তার কথা শুনলে যে কোন কেউ তার ফাঁদে পড়ে যায়।
আমাদের সবার চলাফেরা দেখলে মনে হবে কোন ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। অনলাইন সহ বিভিন্ন কায়দায় সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে সালমা শেষ করেছে বহু মানুষের জীবন।
শ্রাবণী নামের এক কিশোরী শিক্ষার্থী জানান, এই ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে অনেক মেয়ে হারিয়েছে তার স্বতিত্ব। তারা এখন চাইলে ফিরতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে নিয়মিত দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে। এই দেহ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বার বার সংবাদ প্রকাশ করা হলেও একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে নির্বিগ্নে এসব এই অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। সঠিক তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই আইনী পদক্ষেপ নিবো। অনুসন্ধানে বিস্তারিত থাকবে আগামী সংখ্যায়।