Daily News BD Online

ঘুষমুক্ত নিয়োগেও ঘুষখোরদের জ্বলে: প্রেক্ষিত শেরপুর সিজেএম কোর্টের ঘুষমুক্ত নিয়োগ ও থ্রি এমকিউ সমাচার


বিচার বিভাগ নিয়ে নেতিবাচক কিছু লিখতে প্রকৃত সাংবাদিকরা সবসময়ই সর্বাধিক সতর্ক থাকেন।
আমিও এর ব্যতিক্রম নই। তাই শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ আব্দুস সবুর মীনা ১৫/১০/২৩ ইং
তারিখ সাংবাদিকদেরকে ডেকে শেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কর্মচারী নিয়োগে
অনেক অনিয়ম হয়েছে, ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে ইত্যাদি অভিযোগ করলেও একজন বিচারক অপর
একজন বিচারকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন দেখে বিষয়টি আমার ন্যায় অন্য
সাংবাদিকদের নিকটও রহস্যজনক মনে হয়। এজন্য আমি তরিঘরি না করে অধিক সতর্কতার সঙ্গে
বিষয়টিতে সত্য উন্মোচনের চেষ্টা করতে থাকি। প্রায় এক সপ্তাহের কঠোর পরিশ্রমের পর আজ আমি
বিষয়টিতে লিখতে বসে ‘ঘুষমুক্ত নিয়োগেও ঘুষখোরদের জুলে… ভিন্ন অন্য কোন ঘথাযথ শিরোনাম
খুঁজে পেলাম না। গত ১৫/১০/২৩ ইং তারিখ সাংবাদিকদেরকে ডেকে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ
আব্দুস সবুর মীনার নেতৃত্বে যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত মোঃ মাসুদুজ্জামান ও ল্যান্ড সার্ভে
ট্রাইবুনালের বিচারক মুয়াদ সিজেএম কোর্টের কর্মচারী নিয়োগে বিপুল পরিমান ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে
মর্মে যেসব অভিযোগ করেন তা প্রায় হুবহু সমর্থন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয় একজন মহুরী
Selim Syfullah Sumon আইডি হতে। এই মহুরীর ফ্রেন্ড লিস্টে একমাত্র বিচারক হিসাবে কেবল
অতিরিক্ত জেলা জজ আব্দুস সবুর মীনাকে মহোদয়কেই দেখা যায়। এতে পোস্টটির আড়ালে যে এ
বিজ্ঞ বিচারক গং জড়িত তা আমার নিকট দিবালোকের মতন স্পষ্ট হয়ে যায়। এ পর্যায়ে আমি
বিষয়টিতে আরও সতর্কতার সঙ্গে শেরপুর কোর্ট প্রাঙ্গনে সকাল হতে সন্ধা পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ
অনুসন্ধান চালাই। এ যেন কেঁচো খুড়তে সাপ বাহির হওয়ার দশা! যারা সিজেএম কোর্টের নিয়োগে
ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে অভিযোগ করছিলো তাঁরাই এ নিয়োগের জন্য ঘুষ নিয়েছিলেন!
আদালত প্রাঙ্গনে থ্রি এম কিউ খ্যাত বিচারকবৃন্দঅতিরিক্ত জেলা জজ মীনার ‘এম’ যুগ্ম জেলা জজ
মাসুদুজ্জামানের “এম, ল্যান্ড সার্ভে টেরাইবুনালের বিচারক মুয়াদের ‘এম’ ও জেলা জজ তৌফিক এর
শেষ বর্ণ “কিউ’ নিয়ে থ্রি এমকিউ’ গঠিত) সিজেএম কোর্টে কর্মচারী নিয়োগের জন্য দীর্ঘদিন যাবত
পেশকার পদের জন্য পঁয়ত্রিশ লক্ষ ও অন্যান্য পদের জন্য ২৫/২০লক্ষ টাকা ঘুষের রেট নির্ধারণ করে
গোপনে চাকুরীপ্রার্থী সংগ্রহ করছিলেন। তাদেরকে ঘুষ প্রদানকারী কেউ প্রকাশ্যে বিষয়টি স্বীকার
করতে না চাইলেও বর্তমানে এটি আদালতের বহু মানুষ জানে যে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালের একজন
পিয়ন যিনি গাড়ি নিয়ে অফিস করেন ও জেলা জজের একজন ড্রাইভার জামালপুর কোর্টের একজন
কর্মচারীর ছেলেকে সিজেএম কোর্টে চাকুরী দেওয়ার জন্য পঁচিশ লক্ষ টাকার চুক্তি করে এবং ল্যান্ড
সার্ভে ট্রাইবুনালের বিচারক উক্ত ঘুষ গ্রহণ করে জেলা জজকে দিয়েছেন। জেলা জজের প্রতিনিধি
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ক্যাশ সরকার অথবা প্রসেস সার্ভারের চাকুরীর অফার নিয়ে। এই কসাই উক্ত
অফার যাচাই করতে যাওয়ায় বিষয়টি বহু মানুষ জেনে যায়। একজন মানুষকেও পাওয়া যায়নি যে
বলেছে শেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. হুমায়ুন কবীর ঘুষ খায়/খেয়েছে, বরং
আইনজীবীসহ নিরপক্ষ সবার কথা যে শেরপুরের সিজেএম পরীক্ষিত সৎ মানুষ। সিজেএম কর্তৃক
ঘুষ বাণিজ্য হওয়ার কোনও সন্তাবনা নেই। ২০১৮ ইং সনে শুরু হওয়া নিয়োগ কার্য তিনি ২০২৩ এর

শেষদিকে এসে সুসম্পন্ন করেছেন। তিনি এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হওয়ার আগে প্রায় সাড়ে তিন বছর

ধরে শেরপুরে আছেন কিন্তু বর্তমান জেলা জজ আসার পূর্বে তিনি কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেননি ।
অনেকের বিশ্বাসযে জেলা জজ তাকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে না বললে তিনি নিয়োগের মত
ঝামেলার কাজ হয়ত হাতেই নিতে ননা। যদি পদ্ধতিগত সামান্য কোন ব্রটি নিয়োগ কার্যক্রমে
থেকেও থাকে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত কারণ শেরপুরের সিজেএম ঘুষ ছাড়া একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া
সম্পন্ন করেছেন।এই ঘুষমুক্ত নিয়োগের কর্মচারীরা আদালতে ঘুষ খাবেন না এটিই ব্বাভাবিক। ঘুষ
দিয়ে কেউ চাকুরীতে এলে তাকে অফিসের বস সং হলেও নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে থ্রি এমকিউ এর ঘুষ-দুর্নীতির কথা মানুষের মুখে মুখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন
সিনিয়র আইনজীবী বলেন যে, জেলা জজ তৌফিক আজিজ কোন সাধারণ চোর দুর্নীতিবাজ) নয়, সে
একজন ডাকাত। সিনহা হত্যা মামলার হোতা ওসি প্রদীপ শতাধিক সাজানো ব্রসফায়ার/নরহত্যা
করার সময়ে কক্সবাজারের সিজেএম ছিলেন বর্তমানে শেরপুরের জেলা জজ তৌফিক আজিজ। ওসি
প্রদীপের প্রায় সকল অপরাধের প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ সহযোগী তৌফিক আজিজ। তিনি ওসি প্রদীপকে
আইনানুসারে নিয়ন্ত্রণ না করে উল্টো তার নিকট হতে বহু সুবিধা নিয়ে ওসি প্রদীপকে প্রায় সকল
অপরাধে সাহস যুগিয়েছেন। চলনে, বলনে ও চরিত্রে থ্রি এমকিউ যেন বিচারক নহেন, বরং মাফিয়া
গ্যাং। তারা প্রকাশ্যেই সহকর্মী বিচারকদেরকে এমনকি গাধার বাচ্চা/ছাগলের বাচ্চা বলেও
গালিগালাজ করেন। প্রি এমকিউ এর কথা না শুনলে সহকর্মী বিচারকদেরকে কঠিন পরিণতি ভোগের
প্রকাশ্য হুমকি দেন এবং তাদের পেছনে অনেক ক্ষমতাধরেরা আছেন বিধায় তাদেরকে কেউ কিছু
করতে পারবে না মর্মে অহংকার করেন। শেরপুরবাসী যেসব মামলায় সাধারণত কখনও দায়রা
আদালত হতে জামিন হতে দেখেনি জেলা জজ তৌফিক আজিজ সেসব মামলায়ও জামিন দেন কিন্তু
তিনি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যেসব মামলায় জামিন হওয়ার মত সেসব মামলায়ও ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে
জামিন দিতে নিষেধ করে/ভয়ভীতি দেখিয়ে বিচারাঙ্গনের সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নষ্ট করেছেন।
সরকার পরিবর্তন হয়ে বিএনপি জোটের নতুন সরকার এলে যাতে তাদের প্রিয়ভাজন থাকতে পারেন
সেটি নিশ্টিতেও জেলা জজ তৌফিক আজিজ কৌশলী ভূমিকায় আছেন। গত ১৪/১০/২০২৩ ইং
তারিখ শনিবার সকাল ৯.০০টা হতে শেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রকাশ্যে কর্মচারী
নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষা সিজেএম চাইলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়ত নিতে
পারতেন এবং এরূপ হলে হয়ত আদালত অঙ্গনের অনেকেই বিষয়টি দেখতে/জানতে পারতো না
কিন্তু সিজেএম কোর্টে প্রকাশ্যে নিয়োগ পরীক্ষা হতে মানুষজন দেখেছেন। সিজেএম কোর্টের নোটিশ
বোর্ডেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যথারীতি আছে কিন্তু ক’দিন পূর্বে জেলা জজ কোর্টে যে নিয়োগ হয়েছে
সেটির কোন নোটিশ জেলা জজের নোটিশ বোর্ডে নেই। জজ কোর্টের এঁ নিয়োগে থ্রি এমকিউ বড়
অংকের ঘুষ বাণিজ্য করেছেন। সিজেএম কোর্টের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল শেরপুরের বহুল প্রচলিত
একটি স্থানীয় দৈনিক ও একটি জাতীয় দৈনিকে কিন্তু থ্রি এমকিউ ব্বা্ধোন্মত্ত হয়ে পত্রিকা দুটিকে
আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা সাব্যস্ত করছেন, জেলা জজ নিয়োগের কিছু জানেন না বলছেন, সার্কুলারের
দিন পত্রিকার সব কপি কে নাকি কিনে নিয়েছে বলছেন এবং তাদের কথাগুলো হুবহু এমনকি
নিবন্ধনবিহীন পত্রিকায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর হতে প্রকাশিত দৈনিক আশার দিগন্ত ও জামাত
মানসিকতাসম্পন্ন পত্রিকায় প্রচার করেছেন। প্রকৃতপক্ষে জেলা জজ তৌফিক আজিজের
নির্দেশ/অনুমোদন সাপেক্ষে জেলা জজের অফিস আদেশ/নোটশীটে স্বাক্ষর আছে) সিজেএম কোর্টে

১০জন কর্মচারী(পেশকার ২জন, ক্যাশ সরকার ১জন, প্রসেস সার্ভার ৩জন, অফিস সহায়ক ৩জন ও
নিরাপত্তা প্রহরী ০১জন) নিয়োগের নোটিশ/পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি হয়। জেলা জজের আশীর্বাদপুষ্ট
অতিরিক্ত জেলা জজ আব্দুস সবুর মীনা নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ করেন। কণদিন পূর্বে তিনি গ্যাং রেপ
কেসেও ঘুষ খেয়ে জামিন দিয়েছেন। ঘুষ-মাদকের জন্য থ্রি এমকিউ সদস্যের পদোন্নতি না হওয়ার
নজিরও আছেমেলত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে থ্রি এমকিউ গ্যাং সদস্যদের
মধ্যে)। থ্রি এমকিউ সিজেএম কোর্টে নিয়োগের জন্য(পেশকার ৩৫লক্ষ, অন্যান্য পদে ২৫/২০লক্ষ
টাকা করে) গোপনে ঘুষ গ্রহণ করতে থাকে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আবেদন ফেলার সময়
অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কিছু চাকুরীপ্রার্থার আবেদন নিতে সিজেএমকে প্রেসার দিতে থাকে কিন্তু
সিজেএম এতে রাজি হচিছলনা বিধায় জজ কোর্ট ও সিজেএম কোর্টের মধ্যে এ নিয়ে টানাপোড়েন
চলছিল। এসব জটিলতার জন্য ১৫/০৮/২৩ইং তারিখে আবেদন দাখিলের দিন শেষ হলেও এবং
পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়লেও সিজেএম নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তবে সম্প্রতি
সিজেএম যখন সুনির্দিষ্ট তথ্য পায় যে জেলা জজের নেতৃত্বাধীন থ্রি এমকিউ সিজেএম কোর্টে চাকুরী
দেওয়ার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করে ঘুষ নিচ্ছে তখন সিজেএম ঘুষবাণিজ্য বন্ধে চাকরীপ্রার্থীদেরকে
যথারীতি গত ১৪/১০/২৩ শনিবার নিয়োগ কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মচারীদের
মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে এবং পরে যথারীতি ভাইভা নিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের নামের তালিকা
নিয়োগের সুপারিশসহ জেলা জজের নিকট প্রেরণ করেন। সুপারিশকৃত প্রার্থীদের কেউই কোন ঘুষ
কাউকে দেয়নি। কিন্ত জজ কোর্টের বিচারক যারা উক্ত নিয়োগের জন্য গোপনে ঘুষ গ্রহণ করেছিল
তাদের কোন ব্যক্তির চাকুরী না হওয়ায় তারা সাংবাদিকদেরকে বারংবার অনুরোধ করে জজ কোর্টে
ডেকে এনে মিথ্যা/ভুল তথ্য দিয়ে একটি লিখা অতিঃ জেলা জজ আব্দুস সবুর মীনা নিজে লিখে দিয়ে
তা(একই লিখা) একাধিক অখ্যাত পত্রিকায়/ফেসবুকে প্রচার/প্রকাশের ব্যবস্থা করেছেন। বিচারাঙ্গনের
সবার বিবেচনায় শেরপুরের সিজেএম একজন পরীক্ষিত সৎ ও দক্ষ বিচারক। পক্ষান্তরে থ্রি এমকিউ
এর সততা ও বিচারকসুলভ আচরণ/বিশ্বত্ততা মারাত্বকভাবে প্রশ্নবিদ্ধা। অতিরিক্ত জেলা জজ আব্দুস
সবুর মীনা গং সিজেএম কোর্টের ঘুষমুক্ত নিয়োগের বিরুদ্ধে মুল ধারায় কোন নিউজ করাতে না পেরে
জামাতের দোসর হিসাবে পরিচিত জামাত মানসিকতাসম্পন্ন জনৈক সাংবাদিককে দিয়ে জামাতের
একটি পত্রিকায়ও অসত্য রিপোর্ট করিয়েছেলে যাতে ঘুষমুক্ত নিয়োগটিকে চক্রান্ত করে বাতিল করা
যায় এবং পরে তাদের প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দিয়ে ঘুষের টাকা হজম করা যায়। হুবহু একই লিখা
একাধিক বিতর্কিত/নামসর্বস্য পত্রিকায় যেরূপে রিপোর্ট করা হয়েছে তাতে রিপোর্টের কিছু অংশের
ভাষা যেমন “শেরপুর বিচার বিভাগের কর্ণধার” দেখেও বোঝা যায় যে লিখাগুলো কোন সাংবাদিকের
নয়, বরং কোন বিচারকের লিখে দেওয়া। এমনকি সার্কুলারের দিন পত্রিকার সব কপি কে/কারা কিনে
নিয়েছে মর্মে থ্রি এমকিউ সদস্য নিশ্চিতভাবে বলছেন বিধায় জনমনে সন্দেহ যে উক্তরূপ কিছু ঘটে
থাকলে তারাই তা ঘটিয়েছেন। শেরপুরের মানুষ ঘুষ-দুর্নীতিতেজর্জড়িতথ্রি এমকিউ এর দৌরাত্বহতে
মুক্তি চায়।

শেখ না‌জিম উদ্দিন : লেখক ও কলামিস্ট
ইমেইল : Sheikhnazimuddin@gmail.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন