শাহাদাত হোসেন মানিকঃ
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার টংগাবাড়ী এলাকায় তার নিজ বাড়ির পাশে সমাহিত বাবার কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
এ সময় রানা প্লাজা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মুরাদ জং বলেন, আপনারা বলে তো রানা প্লাজা কি আমি ফেলাইছি? রানা প্লাজা আমি বানাইছি? ওইটার মালিক কি আমি? ওখানে কি আমার কোনো ব্যবসা ছিল? ওখানে কি আমার কোনো অংশীদারিত্ব ছিল? ওই মার্কেট টা কি আমার শাসন আমলে বানানো হয়েছে?। তাহলে কেন আমাকে দোষারোপ করা হলো। আমি মানুষ না, আমার কষ্ট লাগে না, আমার অভিমান হইতে পারে না। আর যেখানে আমার নেতা, আমার অভিভাবক, আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছে তাইতো চুপ ছিলাম।
এ সময় তিনি বলেন, আজকে ২০২৩ এর এই নির্বাচনে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছে, আসো কে জনপ্রিয় প্রমান করো। তাই তো আমি আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতদিন চুর থাকতে বলেছেন। এইবার বলেছেন মুখ খুলো। তাই তো মুখ খুললাম। আপনারদের কাছে আসলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি তো নৌকাই, শুধু মার্কাটা হলো ঈগল। এই মার্কাটা লাইয়া দয়া করে আপনারা যদি আমার নির্বাচনটা করে দেন। আরেকটা বার যদি সুযোগটা দেন। তাহলে প্রথম ফুলের মালাটা তো জননেত্রী শেখ হাসিনার গোলাই তো পড়াবো।
মুরাদ জং আরও বলেন, আমাকে অনেকে বলছে, আহে নাই। ১০ বছর দেখি নাই। ১০ বছর কই ছিল। মুরাদ জং ইতিহাসের পাতায় চলে গেছে। কেন মুরাদ জং কি রোহিঙ্গা, মুরাদ জং কি গাংগ হাতরায় আইসে। মুরাদ জংয়ের বাড়ী আশুলিয়া। মুরাদ জংয়ের বাড়ী টংগাবাড়ী। মুরাদ জং আপনাদের ছেলে। আমার ইজ্জত আপনাদের ইজ্জত।
সবশেষে তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদ বলেন, আপনারা যদি জিজ্ঞেস করেন আমার যোগ্যতা কি, তাহলে বলবো আমি আপনাদেরকে ভালোবাসি। আর যদি বলেন আমার অযোগ্যতা কি? আমি আপনাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন,আওয়ামী লীগ নেতা আলী হায়দার ও আব্দুল কাদের দেওয়ান সহ স্থানায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।