সাহাদাত হোসেন মানিক :
আশুলিয়া মরাগাঙ্গ এলাকার আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি চক্র। এতে গভীর গর্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই তারা গায়ের জোরে মাটি কাটছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রুবেল, পারভেজ, এবং জাহিদ সরকার নামের একটি প্রভাবশালী চক্র এই আবাদি জমির মাটি বিক্রি করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন শত গাড়ি মাটি বিক্রি হয়। প্রতিটি গাড়ি মাটির মূল্য প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা মাটি বিক্রি হয় প্রতিদিন এখান থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, কিছুদিন আগে এখানে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটির বয়স ১২ থেকে ১৩ বছর। শিশুটি এই গর্তেপড়ে গেলে এটার গভীরতা অনেক বেশি হওয়ার কারণে উপরে উঠতে পারে নি। একসময় মারা যায়। কিন্তু তারা এটা প্রভাব এবং ক্ষমতার জেরে সম্পূর্ণ ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর আশেপাশের মানুষ বেশ আতঙ্কিত থাকে যেকোনো সময় যে কোন দুর্ঘটনা শিকার হতে পারে এজন্য।
ড্রাম ট্রাক গুলি দিনে চলাচল করার অনুমোদন নেই। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য। কিন্তু এখন তাদের এই মাটি বিক্রির কারণে এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা হাজার হাজার মানুষের জ্যামের ভোগান্তি পোহাতে হয়।তারা এই জমিগুলো মাটি বিক্রি করে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ফিট গর্ত করছে, এত গভীর গর্ত করার কারণে এখানে যেকোনো সময় যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আশেপাশে মানুষের কাছে জানা যায় তাদের এই বিশাল গর্তের কারণে তাদের চাষাবাদের জমি হুমকির মুখে পড়বে। এ বিষয়টি নিয়ে কৃষকরা খুবই হতাশায় ভুগছেন। মাটি কেটে ফসলি জমি নষ্ট করার জন্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের এই তাদের এই মাটি খননের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর মাটি কাটার অনুমোদন দেয় নাই। এমনকি এ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ নেই তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতেছে না এবং কিছু বলছে না।