ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় নিউ সেবা হাসপতালে মো.জিল্লুর রহমান এ্যাপান্ডিসসাইডের অপারেশন করতে গেলে অদক্ষতা বা পরিচালনা গাফিলতির কারনে প্রসাবের রাস্তার নালী কেটে ফেলার অভিযোগ তোলেন জিল্লুরের পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, তাদের অবহিত না করে নিউ সেবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার স্বামীকে এ্যাম্বলেন্স যোগে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গতমাসের ১ফেব্রুয়ারি রাত দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় নিউ সেবা হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জিল্লুর রহমান নামের ওই ব্যক্তির।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোসা. বেলোকা বেগম জানান, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকার সাভার পৌরসভার দারোগার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোসা. বেলোকা বেগম জানান,আমার স্বামী-মো. জিল্লুর রহমান। নিউ সেবা হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার কারেন আমার স্বামী ও আমার পরিবারের ক্ষতি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, আমার স্বামী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অর্থনৈতিক ভাবে আমার পরিবার পথে বসে গেছে। এদিকে উলটো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আমাদের হুমকি ধুমকি দিচ্ছেন।এতে পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মাঝে জীবনযাপন করছে।
জানা গেছে, অপারেশন থিয়েটার অবস্থা খারাপ হলে ঐদিন সকাল ১০.৩০মিনিটের দিকে আইসিইউতে ভর্তি করতে গেলে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর রিপোর্টের সাথে অপারেশনের মিল না থাকায় ভর্তি করতে আপত্তি জানায়। পরে জিল্লুরের পরিবারের তিন জন আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ৩টি বন সই গ্রহণ করে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে আমার স্বামী মোঃ জিল্লুর রহমান-কে ৬দিন আইসিইউতে রাখা হয়। এবং পরে হাসপাতালের বেডে ভর্তি রাখা হয়। আমার স্বামীর হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখ ৫০ টাকা অন্য মেডিকেলে খরচ হয়ে গেছে।
জিল্লুরের স্ত্রী জানান, অপারেশন করাতে গেলে ওই হাসপাতাল আগে বলেছিল ১৬ হাজার ৫০০ টাকা লাগবে। কিন্তু তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে আমাদের সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে। এই টাকাটা ম্যানেজ করতে হয়েছে গ্রামের বসত বাড়ি বিক্রি করে। অথচ আশুলিয়া নিউ সেবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে একটি ভূয়া প্রতিবেদন তৈরী করে রাখে। এই বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আমার স্বামী পরিপূর্ণ সুস্থ্য না হওয়ায় ২দিন পর পর ১/২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয় যাহা বর্তমানে আমার পক্ষে বহন করা অসম্ভব। পরবর্তীতে উক্ত নিউ সেবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে উক্ত বিবাদী সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে সহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে তালবাহানা মূলক কথাবার্তা বলিয়া গালিগালাজ করা সহ নানা রকম ভয়- ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে। বিবাদীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়া বলে যে, ঘটনার বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে আমাদের জানমালের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করিবে।আমাদের ছেয়ে খারাপবার কেউ হবে না।
আমি বাচতে চাই,আমার পরিবার কে বাঁচাতে চাই,নিউ সেবা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও ডাঃ আমিরুল ইসলাম এর ভয়ে মানবতার জীবন কাটাচ্ছি,এদেশের সরকার,প্রশাসন সুশিলসমাজ সকলের কাছে প্রার্থনা এই যে,উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয়,আমি বাচতে চাই,আমার পরিবার নিয়ে বাচতে দিন।