নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছের পড়া বেল নেয়াকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাজিব আলম রাজিব (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন। বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে ভাদ্রা ইউনিয়নে পংভাদ্রা গ্রামে হতাহতের এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত রাজিব ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলম মিয়ার ছেলে। সে ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেছ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এঘটনায় পুলিশ ৬জনকে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন। এদিকে গত ২৯ এপ্রিল গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুড়িকাঘাতে খুন হন প্রাবাসী লুৎফর রহমান। এ খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ৪দিনের মাথায় আরেকটি খুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবারের বরাত দিয়ে নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলীম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমের সাথে মো. আজহারের বাড়ির সিমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সিমানায় একটি বেল গাছের বেল মাটিতে পড়লে আজাহরের বাড়ির লোকজন বেলটি নিয়ে যায়। এ নিয়ে আজাহার ও মুক্তিযোদ্ধ আলম মিয়ার পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিব আলম রাজিব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ৭জন। তাদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। এরা হচ্ছে, মৃত কলিমুদ্দিন ছেলে মো. আজাহার ও পলাশ, পলাশের ছেলে রুবেল, আজাহারের ছেলে শান্ত, রুবেলের মেয়ে বৃষ্টি ও আজাহারের স্ত্রী শিল্পী বেগম।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. রাজিব আলম রাজিব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ছুড়ি উদ্ধারসহ ৬জন কে আটক করা হয়েছে। আটকদের ব্যপারে যাচাই-বাচাই চলছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিকেল ৩টায় এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।