টাঙ্গাইলে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সখীপুর উপজেলার কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নাগরপুর উপজেলার ইসলামাবাদ দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদরাসা।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সখীপুরের কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ও নাগরপুরের ইসলামাবাদ দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদরাসা থেকে ২৭ জন অংশ নিলেও কেউ পাশ করতে পারেনি।
জানা গেছে, ২০০০ সালে সখীপুরে কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬ জন। বিদ্যালয়টি ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পায়।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টিতে তেমন পড়াশুনা হয় না। শিক্ষকরা এসেই চলে যায়। শিক্ষার্থীও নেই তেমন। শুধু এমপিওভুক্ত পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়টি চালু রাখা হয়েছে। বিগত সময়েও এ বিদ্যালয়ে ফলাফল ভালো ছিল না।
জেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০টি। মাদরাসায় পাশের হার ৭৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২২টি। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা আ.খা মহিলা দাখিল মাদরাসা ও গাড়াখালি বালিকা দাখিল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনের দাবি এবার এসএসসিতে ভাল ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি আপনাকে এই তথ্য কে দিয়েছে এটা সঠিক তথ্য না। আপনি ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজাল্ট দেখেন। আপনাকে বলতে পারব না কয়জন পাস করেছে।
সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলায় এবার এসএসসির ফলাফল ভাল হয়েছে। তবে একটি বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত না। তারপরও কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সামনের পরীক্ষাগুলোতে ফলাফল খারাপ হলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
নাগরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমদ বলেন, ইসলামাবাদ দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদরাসার ২৭ শিক্ষার্থীর একজনও কেন পাস করলো না এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।