চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঈদুল আযাহা তথা কোরবানির ঈদের বাকি এখনো ১৮ দিন। কোরবানির ঈদের দিন জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ওইদিন বিকেল ৫ টার মধ্যে শহরকে পরিষ্কার করার লক্ষ্য নিয়েই গ্রহণ করা হয়েছে পরিকল্পনা। এর অংশ হিসেবে বিকেলে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় তিনি কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
মেয়র বলেন, বিকাল পাঁচটার মধ্যে শহরকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করতে ৪ হাজার কর্মী কাজ করবে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডকে সাত জোনে ভাগ করে মোট ৩২২টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। প্রতি জোনে একটি করে সাতটি পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য। কোনো কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। জবাইকৃত পশুর নাড়িভূঁড়ির বর্জ্য সংরক্ষণ করে যথাস্থানে রাখার জন্য পলিব্যাগ দেয়া হবে।
মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের ঈদের আগের দিনসহ মোট তিনদিনের সমস্ত ছুটি বাতিল করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নগরীর পার্শ্ববর্তী উপজেলার কোরবানির চামড়া যাতে নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুইদিন শহরের প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট স্থাপনসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করব আমরা। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে বেগবান করতে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে, যেখানে অভিযোগ জানালে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী।