শাহপরান, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
কসবায় যৌতুকের জন্য তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে ছাইমা আক্তার (২১) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (৯ মে) রাতে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ছাইমা আক্তার একই ইউনিয়নের বুগীর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার মেয়ে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের পিতা ইসমাইল মিয়া বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে কসবা থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী কবির হোসেনসহ পরিবারের লোকজন। নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, গত প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোন ছাইমা আক্তারের বিয়ে হয় পাশ্বর্র্বতী কেয়াইর গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ছাইমার উপর নিযার্তন শুরু করে তার স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের একমাস পর তার স্বামী কবির হোসেন প্রবাসে চলে যায়। শশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময় তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো। বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময় এ পর্যন্ত প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা দিয়েছি। গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রবাস থেকে তার স্বামী কবির হোসেন বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করত। বুধবার রাত ৭ টার দিকে কবির হোসেন ফোনে জানায় তার বোন আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই ঘরের খাটের উপর ছাইমার মৃতদেহ পড়ে আছে। তিনি দাবী করেন তার বোন আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে। কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর গৃহবধুর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।