সিরাজগঞ্জে জমি লিখে না দেওয়ায় শাহনাজ খাতুন (৫৭) নামের এক বৃদ্ধ মাকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার (১২ মে) বিষয়টি জানাজানি হয়। গত শুক্রবার দুপুরে জেলার কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জমি লিখে না দেওয়া ও ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় শাহনাজ খাতুনের বড় ছেলে শাহ আলম ও তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন তাকে মারপিট করে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ওই বৃদ্ধাকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শাহ আলমের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার শ্বাশুড়ি তার জমিজমা ও টাকা তার ছোট ছেলে ও মেয়েকে দিয়েছে। আমার স্বামী ঋণ করে ঘর দিয়েছে। সেই ঘর থেকে এখন আমাদের বের করে দিতে চায়। এটা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমার স্বামী তাকে ধাক্কা দেয় এবং মারপিট করে। তবে আমি শাশুড়িকে মারপিট করিনি, কিন্তু ধাক্কা দিয়েছিলাম। এতে মাথায় একটু কেটে গেছে।
ইউপি সদস্য ফরহাদুল ইসলাম হ্যাপি বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই ঘটনাটি শুনলাম। আমি হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজ নেব এবং এই ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিথিলা আক্তার বলেন,শাহনাজ খাতুনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ রয়েছে। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন।
কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। তবে ওই মা তার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।