বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা হয়ে ওঠে বৈধ। বিয়েতে রয়েছে কল্যাণ, সাওয়াব ও বরকত। ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক স্বামী ও স্ত্রীর সহবাসের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-নীতি ও দোয়া রয়েছে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আপন স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে তখন দোয়া পড়ে যেন মিলিত হয়। এ মিলনে যদি তাদের কিসমতে কোনো সন্তান আসে, সে সন্তানকে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না (বোখারি, মুসলিম, মিশকাত)।
দোয়টি হলো : بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখো।’
দোয়া ছাড়াও সহবাসের বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে-
সহবাসের পূর্বের কিছু কাজ-
*স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
*‘বিসমিল্লাহ’ বলে সহবাস শুরু করা মুস্তাহাব। ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হয় তাহলে মনে মনে পড়ে নিতে হবে।
*সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা; যা আল্লাহর রাসুলের সুন্নাত।
*সব ধরনের দুর্গন্ধজাতীয় জিনিস পরিহার করা
সহবাসকালীন কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা-
-কেবলামুখী হয়ে সহবাস না করা।
-একেবারে উলঙ্গ না হওয়া।
-স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
-সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা না বলা।
-ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা।
-সহবাসের পরের দোয়া
সহবাসকালে পুরুষ স্ত্রী উভয়ের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ সজাগ দৃষ্টি রেখে চরম পুলকলাভে সাহায্য করবে। স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের পর নিচের দোয়াটি পড়া উত্তম।
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি জাআ’লা মিনাল মায়ি বাশারা। অর্থ : সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্ পাকের জন্যে, যিনি তরল পানি (বীর্য) হতে মানুষ সৃষ্টি করেন।