গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোদালের আঘাতে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন সামছুল হুদা (৪২) নামের এক বড় ভাই। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও এক ভাই।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গেবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ।
এর আগে শনিবার ভোরে বগুড়ার একটি বেসসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আহত সামছুল হুদা। তার আগে গত ৫ জুন বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তালুককানুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামসুল হুদা একই এলাকার হাফিজার রহমানের ছেলে। অভিযুক্তের নাম আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল (২৭)। তারা একে অপরের সৎ ভাই।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির বাবা হাবিজার রহমানের দুই স্ত্রী। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ছেলে সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম। বেশ কিছুদিন ধরে চার শতক জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুলের সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে বুধবার বিকেলে আনোয়ারুলের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করেন। এতে সামছুল গুরুতর আহত হন। পরে সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামছুল আজ ভোররাতে মারা যান।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ‘তালুককানুপুরে বিমাতা ভাইয়ের কোদালের কোপে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।’