নরসিংদী প্রতিনিধি : ছাগলকাণ্ডের পর থেকে দেশজুড়ে আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি আত্মগোপনে রয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদের পাহাড়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মুঠোফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তিনি এখন কোথায় আছেন, তা-ও কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু তিনি কেন আত্মগোপনে চলে গেলেন, তাহলে কি তার গড়া সম্পদও অবৈধ? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের দুদিন আগে সর্বশেষ অফিস করেছেন লায়লা কানিজ লাকী। ঈদের ছুটি শেষে এ পর্যন্ত একবারের জন্যও কার্যালয়ে আসেননি তিনি। তাদের ধারণা, তিনি ছাগলকাণ্ডে বিব্রত। সাংবাদিকরাও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেতে তার কার্যালয়ে এসে খোঁজাখুঁজি করছেন। তাই হয়তো আত্মগোপনে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হাসান বলেন, ঈদের পর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ তার কার্যালয়ে আসেননি। রোববার সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাতেও অংশ নেননি। ব্যক্তিগত কারণে তিনি আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কবে আসবেন তা বলেননি, কোনো ছুটিও নেননি।
জানা গেছে, লায়লা কানিজ লাকী ছিলেন রাজধানীর তিতুমির সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক। শিক্ষকতার পাশাপাশি রায়পুরা উপজেলার মরজালে নিজ এলাকায় প্রায় দেড় একর জমিতে ‘ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট’ নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন তিনি।
এরপর ২০১৮ সালে পরিচয় হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তার হাত ধরেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন লাকি। একই সঙ্গে ২০২৩ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক মারা গেলে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন এবং সংসদ সদস্যের প্রভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন লায়লা কানিজ লাকি। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে দুর্যোগ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।