রোববার বিকালে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড আবু হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রবাসী স্ত্রী গর্ভের সন্তানের পিতার স্বীকৃতি পেতে যুবক উজ্জ্বলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। উজ্জ্বল ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত নসু মহাজনের ছেলে।
ঘটনাটি জানাজানির পর ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রবাসীর বসতঘর থেকে বের করে দেওয়ার পর উজ্জ্বলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এরপরই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহানপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু হাওলাদারের ছেলে হেলাল হাওলাদারের সঙ্গে চার বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের এক পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। এর মধ্যে গত ১৫ মাস আগে স্বামী হেলাল হাওলাদার টাকা উপার্জন করতে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। এ সুযোগে বাড়ির পাশের বাসিন্দা উজ্জ্বলের সঙ্গে গৃহবধূ পরকীয়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর প্রবাসীর স্ত্রীকে রোববার সকালে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের করে দেন। পরে ওই দিনই প্রবাসীর স্ত্রী তার গর্ভের সন্তানের বাবার স্বীকৃতি পেতে উজ্জ্বলের বাড়িতে অবস্থান নেন।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর বোন জয়নব বেগম জানান, ১৫ মাস আগে আমার ভাই বিদেশ গেছে। এর মধ্যেই আমার ভাবি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে বলেছে ঘর থেকে বের করে দিতে; তাই আমরা বের করে দিয়েছি।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘এ ঘটনা যে ঘটাইছে তার বাড়িতে আমি অবস্থান নিয়েছি। তার মা আমাকে মেনে নিয়েছে। ’ এর বাইরে তিনি আর মন্তব্য করেননি।
এ ঘটনার পর থেকে উজ্জ্বল পলাতক থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবকের মা বলেন, আমি ও আমার ছেলে ওই নারীকে মেনে নিয়েছি।
শশীভূষণ থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।